২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৫:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন


রাজশাহী নগরীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা!
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২২
রাজশাহী নগরীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা! রাজশাহী নগরীতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা!


রাজশাহী নগরীতে রুহানী খাতুন (১৫) নামের এক গৃহবধূ কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তার পিতা হায়দার আলীর দাবি জামাই ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে হত্যা করা হয়েছে তাকে।  

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে নগরীর কাটাখালি থানার মোহনপুর গ্রামে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে থাকা কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

মৃত গৃহবধূ কিশোরী ওই গ্রামের মোঃ রাব্বিল হোসেনের স্ত্রী। তার শ্বশুরের নাম মোঃ ইয়াদ আলী । সে একই গ্রামের মোঃ হায়দার আলীর মেয়ে।

গৃহবধূর কিশোরীর পিতা হায়দার আলী জানান, গত ৫মাস পূর্বে প্রেমের সম্পর্কের জেরে মৃত রুহানী খাতুনকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে মোঃ রাব্বিল হোসেন। 

বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের দাবিতে মৃত রুহানীকে নির্যাতন করতো তার স্বামী মোঃ রাব্বিল হোসেন ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকালে রুহানী গলায় ফাঁস দিয়েছে বলে স্থানীয়দের মুখে জানতে পারেন তিনি। কিন্তু পুলিশে খবর না দিয়ে তারা নিজেরাই রামেকে নিয়ে যায়। রামেকের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক  তাকে মৃত ঘোষনা করেন। 

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের কিভাবে মারা গেল তা আমি পরিস্কার জানতে পারিনি। রামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখি আমার মেয়েকে মর্গে রাখা হয়েছে। তিনি তার মেয়ে রুহানীর মৃত্যুর সঠিক কারন তদন্ত করে দোষিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। 

এ ব্যপারে জানতে চাইলে কাটাখালী থানার অফিসার ইনচাজ (ওসি) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মোহনপুর গ্রামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস দিয়েছে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেছে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তবে গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।