আল্লাহর ভয়ে কান্না করা মুমিনের একটি বিশেষ গুণ এবং একনিষ্ঠতার বড় প্রমাণ। আল্লাহর ভয় ঈমানের অপরিহার্য উপাদান। কেননা আশা ও ভয়ের মধ্যে ঈমান নিহিত। নবিগণের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে মহান আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন-
ؕاِنَّهُمۡ کَانُوۡا یُسٰرِعُوۡنَ فِی الۡخَیۡرٰتِ وَ یَدۡعُوۡنَنَا رَغَبًا وَّ رَهَبًا ؕوَ کَانُوۡا لَنَا خٰشِعِیۡنَ
‘তারা সৎকাজে প্রতিযোগিতা করতো। আর আমাকে আশা ও ভীতি সহকারে ডাকতো। আর তারা ছিল আমার কাছে বিনয়ী।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৯০)
জীবনের সব ক্ষেত্রেই শুধু আল্লাহকেই ভয় করতে হবে অন্যদের নয়। আল্লাহ তাআলা বলেন-
فَلَا تَخۡشَوُا النَّاسَ وَ اخۡشَوۡنِ
‘সুতরাং তোমরা মানুষকে ভয় করো না, আমাকে ভয় কর।’ (সুরা মায়েদা : আয়াত ৪৪)
আল্লাহর আজাবের ভয়ে ফেরেশতাদের ঈমান আনা সম্পর্কে আল্লাহ বলেন-
یَخَافُوۡنَ رَبَّهُمۡ مِّنۡ فَوۡقِهِمۡ وَ یَفۡعَلُوۡنَ مَا یُؤۡمَرُوۡنَ
‘তারা তাদের উপরে আল্লাহকে ভয় করে আর তারা তা-ই করে যা তাদের আদেশ দেয়া হয়।’ (সুরা নাহল : আয়াত ৫০)
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন-
اِنَّمَا یَخۡشَی اللّٰهَ مِنۡ عِبَادِهِ الۡعُلَمٰٓؤُا
‘আল্লাহর বান্দাহদের মধ্যে তারাই তাঁকে ভয় করে যারা জ্ঞানী।’ (সুরা ফাতির : আয়াত ২৮)
আল্লাহর ভয় বান্দার অন্তরকে বিগলিত করে। আর বান্দার অন্তর বিগলিত হলে আল্লাহর ভয়ে চোখের পানি প্রবাহিত হয়। কেননা আল্লাহ তাআলা মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে আড়াল হয়ে আছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰهَ یَحُوۡلُ بَیۡنَ الۡمَرۡءِ وَ قَلۡبِهٖ وَ اَنَّهٗۤ اِلَیۡهِ تُحۡشَرُوۡنَ
‘আর জেনে রেখ যে আল্লাহ মানুষ ও তার অন্তরের মাঝে প্রতিবন্ধক হয়ে যান আর তোমাদেরকে তাঁর কাছেই একত্রিত করা হবে।’ (সুরা আনফাল : আয়াত ২৪)
সুতরাং আল্লাহকে ভয় করা খুবই জরুরি। আল্লাহর ভয়ে প্রকাশ্য ও গোপনে কান্নার মাধ্যমে নিজেদের সব পাপ-পঙ্কিলতা থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেদের পুতঃপবিত্র ও সৌন্দর্যমণ্ডিত করতে পারি।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে বেশি বেশি তাঁকে ভয় করার তাওফিক দান করুন। আল্লাহর ভয়ের মাধ্যমে পরকালের কামিয়াবি অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।