১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ১১:৪৭:১১ অপরাহ্ন


বিবস্ত্র করার অপমানে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারা গেল ছাত্রী
তমাল দাস:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-১০-২০২২
বিবস্ত্র করার অপমানে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারা গেল ছাত্রী বিবস্ত্র করার অপমানে গায়ে আগুন দিয়ে পুড়ে মারা গেল ছাত্রীর


স্কুলের পরীক্ষা চলাকালীন সন্দেহে ঋতুমুখী নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ক্লাসরুমে থাকা শিক্ষিকা সকলের সামনেই পোশাক খুলতে বাধ্য করেছিলেন। যদিও সেই ছাত্রীর কাছে কিছুই মেলেনি। কিন্তু এভাবে সকলের সামনে পোশাক খোলানোর সেই অপমান একেবারেই মানতে পারেনি সেই কিশোরী। এরপরই বাড়িতে ফিরে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় সে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরে । 

জানা গেছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিল ওই ছাত্রী। বাড়ির লোক কিছু বুঝে ওঠার আগেই বীভৎসভাবে পুড়ে যায় কিশোরী। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সে জামশেদপুরের সারদামণি গার্লস স্কুলের ছাত্রী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে পুলিশ ইতিমধ্যেই ওই অভিযুক্ত শিক্ষিকা চন্দ্রা দাসকে গ্রেফতার করেছে। এর পাশাপাশি সাসপেন্ড করা হয়েছে স্কুলের প্রিন্সিপাল গীতা রানি মাহাতকেও।

সূত্র বলছে, গত ১৪ অক্টোবর থেকে জামশেদপুরের টাটা মেইন হাসপাতালে ভীষণই সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল কিশোরী। এমনকী পুরো ঘটনার বিষয়ে জানার পর এগিয়ে আসেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনও। তিনি ওই ছাত্রীর উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য জামশেদপুরের ডেপুটি কমিশনারকে নির্দেশ দেন। এমনকি ওই হাসপাতালে ঋতুর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল।

কিন্তু এসব কিছুই কাজে এল না। গত সপ্তাহেই জীবনযুদ্ধে হার মানে ওই ছাত্রী। এদিকে তার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই কিশোরীর আত্মীয়-পরিজন এবং স্থানীয়রা। শেষে পরিস্থিতির মোকাবিলায় হাসপাতাল থেকে শ্মশান পর্যন্ত মোতায়েন করা হয় বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই কঠোর নিরাপত্তার ঘেরাটোপেই সম্পন্ন হয় ঋতুর শেষকৃত্য।