২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০১:১২ পূর্বাহ্ন


চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিতেন আ.লীগ নেতা
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০২-২০২২
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিতেন আ.লীগ নেতা চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিতেন আ.লীগ নেতা শের মোহাম্মদ


দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিত প্রতারক চক্রটি। সেই প্রতারক চক্রের এক সদস্য শের মোহাম্মদকে (৫২) আটক করেছে র‍্যাব। 

গতকাল শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব-৫, সিপিসি-১ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে শের মোহাম্মদকে আটক করেছে। এ সময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীতে চাকরির একটি ভুয়া নিয়োগপত্র পাওয়া গেছে। র‍্যাবের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

আটক চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউনিয়নের গোরক্ষনাথপুর গ্রামের মো. তোফাজ্জল হকের ছেলে শের মোহাম্মদ। 

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় আটক শের মোহাম্মদ একজন প্রতারক। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার আশ্বাস দেন এবং ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ছয় লাখ টাকা নেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাকরি দিতে ব্যর্থ হয়। এমনকী তিনি ভুক্তভোগীকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন। 

আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শের মোহাম্মদ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনেকের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন। তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন আরো তিনজন। ওই তিনজনও তাকে ১৮ লাখ টাকা দিয়েছেন। 

র‍্যাব আরো জানায়, আটকের সময় শের মোহাম্মদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর (বেসামরিক) অফিস সহায়ক পদে ভর্তির একটি ভুয়া নিয়োগপত্র ছাড়াও একটি মুঠোফোন, একটি সিমকার্ড ও নগদ অর্থ জব্দ করা হয়। আটক শের মোহাম্মদ দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সংঘবদ্ধভাবে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাকে আটক করতে র‌্যাবের একটি চৌকশ গোয়েন্দা দল দীর্ঘদিন ধরে কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত রেখেছিল।

এ ঘটনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানায় র‍্যাব। বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. হাম্মাদ রাজীব আটক প্রতারক চক্রের সদস্য শের মোহাম্মদ ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, আমার ধারণা শের মোহাম্মদের সঙ্গে আরো অনেকেই জড়িত রয়েছে। সে হয়তো গ্রামে প্রাথমিকভাবে লোক ধরে চাকরি দেয়ার নামে টাকা আদায় করে প্রতারণা করতো। 

রাজশাহীর সময় /এএইচ