২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:১৭:৪৫ অপরাহ্ন


ট্রাস সরলে সুনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-১০-২০২২
ট্রাস সরলে সুনক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী! ফাইল ফটো


ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে লিজ ট্রাসের মেয়াদ কি বড়জোর আর এক সপ্তাহ? কনজারভেটিভ দলের একাংশ কিন্তু তেমনই মনে করছেন। আর ততই ভেসে উঠছে ঋষি সুনকের নাম। বস্তুত, সুনক তার সমর্থকদের জানিয়েও দিয়েছেন, প্রস্তাব এলে প্রধানমন্ত্রী হতে তিনি ইচ্ছুক।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লড়ার সময়েই সুনক বলেছিলেন, ‘অর্থনীতির রূপকথা’ শোনাচ্ছেন ট্রাস। কর ব্যবস্থায় যে বিপুল কাটছাঁটের কথা ট্রাস তখন বলছিলেন, তা বাস্তবায়িত হলে সুদের হার দ্রুত বাড়বে এবং বন্ধকি সুদেও তার প্রভাব পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। তারপরেও ট্রাস প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এবং ক্ষমতায় আসার ৩৭ দিনের মাথায় অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারটেংকে বরখাস্ত করে পূর্বঘোষিত সংক্ষিপ্ত বাজেটের একাংশ ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন। সুনকের পথে হেঁটে কর্পোরেট করের হার ১৯ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ফের ২৫ শতাংশ করারও পক্ষপাতী তিনি।

ফলে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছেন সুনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, প্রাক্তন মন্ত্রী ও বর্ষীয়ান এমপি মিলিয়ে ১৫-২০ জনকে একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সুনকের সমর্থকেরা। কখন এবং কীভাবে ট্রাসকে সরিয়ে সুনক এবং পেনি মর্ডান্টের জুটিকে মন্ত্রিসভার দুই শীর্ষ পদে বসানো যায়, ওই নৈশভোজে তারই পরিকল্পনা হবে বলে সূত্রের দাবি। কিন্তু বিষয়টা তত সহজও নয়। এটা ঠিক যে, কনজারভেটিভদের একাংশই মানছেন, তারা ভুল নেতা বেছেছেন। সমস্যা যেহেতু অর্থনীতির, তাই নতুন অর্থনীতি দরকার। সুনকের দেখানো পথেই ফিরেছেন ট্রাস। ফলে সুনককে ফের অর্থমন্ত্রী করা যেতেই পারত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রিত্বের যুদ্ধ লড়া সুনক এখন পেনির অধীনে কাজ করতে রাজি নন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের মতে, সরকারের আসল চাবিকাঠি এখন ট্রাস নয়, অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের হাতে। একটি সমীক্ষাতেও ৬৪ শতাংশ ভোট পড়েছে ট্রাসের অপসারণের পক্ষে। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র ইয়র্কশায়ারে থাকা সুনক যদিও ট্রাসের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। তার সামনের পথও মসৃণ নয়। শোনা যাচ্ছে, পেনি এবং হান্টও ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দিকে তাকিয়ে। ট্রাসও সহজে গদি ছাড়বেন না। এ দিকে, বিরোধীরা নির্বাচন এগিয়ে আনার দাবি তুলছেন। কনজ়ারভেটিভদের এই ছন্নছাড়া অবস্থার সুযোগ নিয়ে লেবার পার্টি পরের ভোটে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলেই অনেকের মত। সে ক্ষেত্রে হাতে গোনা কয়েক দিন প্রধানমন্ত্রী থেকে সুনকের আদৌ কোনও লাভ হবে কি না, সেটাও বড় প্রশ্ন।