২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০২:১০:২৮ পূর্বাহ্ন


বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম: মীর ইকবাল
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-১০-২০২২
বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম: মীর ইকবাল বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম: মীর ইকবাল


আগামী ১৭ অক্টোবর, ২০২২ খ্রি. আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল-এঁর কাপ পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে আজ বুধবার পুঠিয়া উপজেলার পুঠিয়া পৌরসভা ও বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে, চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদে, বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।  

নির্বাচনী মতবিনিময় সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। কোন কিছুর প্রত্যাশা করি নাই, আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পেয়েছি। আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ঐ পরাজিত শক্তি পাকিস্তানী এদেশীয় এজেন্টরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে আরো পিছিয়ে দিয়ে আবারো পাকিস্তানী ধারায় দেশ পরিচালিত হচ্ছিলো। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই আমরা পৃথিবীর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে আমাদের দেশ বাংলাদেশ অবস্থান করতো কিন্তু সেটা হয় নি, ষড়যন্ত্রকারীরা সেটা চায় নি, তারা চায় নি বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াক। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

তিনি আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যার একজন সামান্য কর্মী হিসেবে তাঁর এই উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনাদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহন করতে চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের উন্নয়ন ও সহযোগী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। জেলা পরিষদে সরকার কর্তৃক যে বরাদ্দ আসবে তার সুষম বন্টন করাই হবে আমার কাজ। অতীতের ন্যায় আপনাদের সাথে নিয়ে জেলা পরিষদের সার্বিক উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ পিরিচ মার্কায় ভোট দিয়ে সরকারের উন্নয়ন কে আরো বেগবান করতে এবং আপনাদের পাশে থেকে সেবা করার সুযোগ দিন। আমি বিজয়ী হলে এই বিজয় হবে আপনাদের, এই বিজয় হবে আমার প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র।

মতবিনিময় সভাগুলোতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে পুঠিয়া পৌরসভার মেয়র আল মামুন খান, বানেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক দুলাল, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ প্রামানিক, পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ

বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমানুল হাসান দুদু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আব্দুস সামাদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জি. এম. হিরা বাচ্চু, চারঘাট উপজেলার চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ ফখরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমি রহমান, শিলমাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদ হোসেন মুকুল, ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ তাকবীর হাসান, জিউপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাঃ হোসনেয়ারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাবুল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রবিউল আলম রবি, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ, পুঠিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জানাব আলী, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়াদ আলী, চারঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি, বাঘা উপজেলা আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান  রফিকুল ইসলাম রফিক, ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব।