২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১১:২৯:১৭ পূর্বাহ্ন


রাশিয়ার হামলায় একদিনেই যেন মৃত্যুপুরী ইউক্রেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২২
রাশিয়ার হামলায় একদিনেই যেন মৃত্যুপুরী ইউক্রেন ফাইল ফটো


রাজধানী কিয়েভসহ একাধিক শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর এখনও থমথমে ইউক্রেন। আবারও হামলার আশঙ্কায় আতঙ্কে দিন পার করছেন সাধারণ মানুষ। সোমবারের (১০ অক্টোবর) ভয়াবহ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ জনে। আহত হয়েছেন শতাধিক। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর সোমবার সবচেয়ে বড় হামলা চালায় রাশিয়া। কিয়েভসহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে দফায় দফায় চলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। রাশিয়া-ক্রিমিয়া সংযোগ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে পাল্টা প্রতিশোধ নিতেই ইউক্রেনে হামলা জোরদার করার কথা জানিয়েছে ক্রেমলিন।  

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির জরুরি পরিষেবা সংস্থা জানিয়েছে, কিয়েভ এবং অন্যান্য ১২টি অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অবকাঠামো রাশিয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে ৩০১টি শহর ও অঞ্চল। খবর আল জাজিরার।  

ভয়াবহ ওই হামলার একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে ইউক্রেনের পরিস্থিতি। মঙ্গলবারও (১১ অক্টোবর) কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতার সাইরেন বেজে উঠে। হামলা প্রতিহতে নেয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। আবারও হামলার আশঙ্কায় চরম আতঙ্ক আর উদ্বেগে দিন পার করছেন সাধারণ মানুষ। 

স্থানীয়রা বলছেন, এই শহরে কয়েক লাখ মানুষ বসবাস করেন। অথচ রাশিয়া এখানে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। পুরো বিশ্ব আজ নীরব। ইউক্রেনে ‘গণহত্যা’ বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে সহযোগিতার আহ্বান জানাচ্ছি আমরা। 

এমন পরিস্থিতিতে রুশ হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলেনস্কি। এক ভিডিও বার্তায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে এর তীব্র নিন্দা জানান তিনি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, কোনো কিছুই রুশ হামলা থেকে রক্ষা পায়নি বলে দাবি তার। 

এদিকে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে এ প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।  

হামলার জন্য রাশিয়াকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে সব ধরনের সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলো। এছাড়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল রাশিয়ার অন্তর্ভুক্তির একটি নিন্দা প্রস্তাব সাধারণ পরিষদে তোলার পর মস্কো গোপন ভোটাভুটির দাবি জানালেও তা প্রত্যাখান করেছে জাতিসংঘ।