২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ১২:২০:২৮ পূর্বাহ্ন


রজব মাসে মানুষের যে আমল-অনুভূতি খুবই জরুরি
ইসলামীক ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০২-২০২২
রজব মাসে মানুষের যে আমল-অনুভূতি খুবই জরুরি ফাইল ফটো


শান্তি ও নিরাপত্তার মাস রজব। যে ৪ মাস যুদ্ধ তথা রক্তপাত হারাম, সে মাসগুলোর মধ্যে রজব এটি। ইসলামি ক্যালেন্ডারের (হিজরি সন) হিজেবে ৪র্থ মাস ‘রজব’। এ মাসে সব ধরনের কলহ, যুদ্ধ ও রক্তক্ষয়ী যে কোনো কাজই নিষিদ্ধ। কোরআন-সুন্নাহর বর্ণনায় আল্লাহর গণনায় ১২ মাসের মধ্যে ৪টি মাসকে সম্মানিত বলা হয়েছে। এ চার মাসের মধ্যে একটি হলো- রজব মাস।

১. কোরআনে আল্লাহ বলেন-

‘নিশ্চয়ই আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির দিন থেকে আল্লাহ তাআলার বিধান ও গণনায় মাস বারোটি। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান; সুতরাং এর মধ্যে তোমরা নিজেদের প্রতি অত্যাচার করো না।’ (সুরা তাওবাহ : আয়াত ৩৬)

২ হাদিসে পাকে এসেছে-

নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বছরে মাস ১২টি। এরমধ্যে সম্মানিত মাস ৪টি। তিনটি মাস ধারাবাহিক- জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। আর চতুর্থ মাসটি হলো- রজব। যা (আরবি মাস) জমাদিউল আখির ও শাবানের মর্ধবর্তী মাস।’ (বুখারি)

রহমতের বার্তাবাহী মাস রজব

রজব মাস এলেই মানুষ শাবান ও রমজান সম্পর্কে জানে। এটি মানুষের সামনে শাবান ও রমজানের পরিচয় তুলে ধরে। মুমিন মুসলমান শাবান মাসে ইবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ করে এবং রমজানের অপার নেয়ামতের অনুপ্রেরণা পায়। আর মহান রবের কাছে এভাবে দোয়া করতে থাকে-

اَللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান; ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শা’বান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দেন অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দেন, যাতে আমরা রমজানের বরকত থেকে উপকৃত হতে পারি)।’

কেন এ দোয়া করবেন?

আল্লাহ তাআলার দেওয়া যেসব নেয়ামত মুমিন মুসলমানের জীবনকে সমৃদ্ধ করে তোলে; রমজান তার মধ্যে অন্যতম সেরা একটি নেয়ামত। মানুষের জীবনে আল্লাহর প্রতিটি নেয়ামতই তার তাওফিক ছাড়া পাওয়ার কোনো সুযোগ ও সম্ভাবনা নেই। রমজানও এর ব্যতিক্রম নয়।

ঈমানদারের দুনিয়ার ক্ষণিকের এই ছোট্ট জীবনে রমজান আল্লাহ‌র দেওয়া এক বিরাট উপহার। যা মানুষের জীবনের অতীতের সব গুনাহগুলোকে ক্ষমা করে নেকিতে পরিণত করে দেয়। রজব মাসের এ দোয়ার মধ্যে রমজান প্রাপ্তির দোয়া রয়েছে।

এ কারণে প্রত্যেক মুমিনের কামনা ও বাসনা থাকে রমজান পাওয়ার, রমজানের রোজা রাখার প্রস্তুতি গ্রহণ করার। এমন কোনো মুমিন ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাবে না; যে রমজান পেতে চায় না। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত পেতে চায় না।

মানুষ নিজেদের বাড়িতে আসা বিশেষ মেহমানকে সম্মান জানাতে এবং গ্রহণ করতে যেমন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন ঠিক তেমনি মুমিন মুসলমানের উচিত, অফুরন্ত কল্যাণের মাস রমজান পেতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া। দয়াময় রবের দরবারে আঁকুতিসহ এ আবেদন জানানো-

اَللهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ رَجَبَ وَ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারাকলানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান; ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি রজব ও শা’বান মাসকে আমাদের জন্য বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান মাস পর্যন্ত পৌঁছে দেন অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত বৃদ্ধি করে দেন, যাতে আমরা রমজানের বরকত থেকে উপকৃত হতে পারি)।’

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রজব মাসজুড়ে শাবান ও রমজান মাসের বরকত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। সবাইকে পবিত্র রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন। আমিন।

রাজশাহীর সময় / এফ কে