২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০৮:০৬:৫০ পূর্বাহ্ন


সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত-২, আহত-৩
সৌরভ সোহরাব, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১০-২০২২
সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত-২, আহত-৩ সিংড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে নিহত-২, আহত-৩


নাটোরের সিংড়া উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আফতাব উদ্দিন(৫০)  ও রুহুল আমিন (৪৫) নামের ২ জন নিহত সহ ৩ জন আহত হয়েছে। আহতরা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রবিবার (৯ অক্টোবর) রাত  সাড়ে ৯টায় উপজেলার সুকাশ ইউনিয়নের বামিহাল এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান। ওই এলাকা এখন থমথমে বিরাজ করছে।

নিহত আফতাব উদ্দিন সুকাশ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি গত ইউপি নির্বাচনে মেম্বার প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন।

অপর পক্ষে নিহত রুহুল আমিন প্রতিপক্ষ কুদুস-ফরিদ গ্রুপের অনুসারী রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

আহতরা হলেন আফতাবের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম এবং প্রতিপক্ষ কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের অনুসারী মাসুদ ও মুসা।

প্রতিপক্ষ কুদ্দুস ওই ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং দুই বারের বিএনপি সমর্থিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী। কুদ্দুসের ভাই ফরিদ ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আফতাব গ্রুপের সঙ্গে কুদ্দুস-ফরিদ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার রাত ৮টার দিকে আফতাবের নেতৃত্বে বামিহাল এলাকায় কুদ্দুস গ্রুপের লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়।

এতে কুদ্দুস গ্রুপের তিন জন আহত হন। কিছুক্ষণ পর  কুদ্দুসের নেতৃত্বে তার অনুসারীরা বামিহাল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আফতাব গ্রুপের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় তারা আফতাব ও কালামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আফতাবকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর পক্ষে কুদ্দুসের অনুসারী রুহুল আমিনকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রায় ২০-২৫ জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। একপর্যায়ে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। আতঙ্কে লোকজন বাড়িতে চলে যান।

সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনার পথে একজন নিহত ও রাজশাহী  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে  একজন মোট ২ জন নিহত হয়েছে।   তবে সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির কথা শুনিনি।  এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।