১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার, ০৭:১৪:৩৩ পূর্বাহ্ন


গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যালস!
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২২
গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর নেপথ্যে ভারতীয় ফার্মাসিউটিক্যালস! ফাইল ফটো


গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ভারতের মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিরাপের সম্পর্ক থাকতে পারে। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ কথা জানিয়েছে।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয়ভাবে গাম্বিয়ায় বিক্রি করা কাশি ও ঠান্ডার দূষিত প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের তিন থেকে পাঁচ দিন পর কয়েকটি শিশু কিডনি জটিলতায় পড়ে। গত আগস্টে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। বুধবার (৫ অক্টোবর) ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে।

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস ভারতীয় কারখানাগুলোতে ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। কোম্পানিটি স্থানীয়ভাবে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে রফতানি করে থাকে।

মেডেন ফার্মার পণ্যগুলো বাজার থেকে সরাতে সংশ্লিষ্ট দেশকে একটি চিকিৎসা পণ্যসংক্রান্ত সতর্কতাও জারি করেছে ডব্লিউএইচও। এ সতর্কতা জারির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মেডেন ফার্মা। ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।

ডব্লিউএইচও বলছে, প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ—এই চার পণ্যের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বেশি মাত্রার ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ও ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে, যা খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

জুলাইয়ের শেষের দিকে গাম্বিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মারাত্মক কিডনি জটিলতা দেখা দেয়। পরে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করার ঘোষণা দেয় গাম্বিয়া সরকার। দেশটি হাম, ম্যালেরিয়াসহ একাধিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করছে।