২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার, ০২:৪৪:০৭ পূর্বাহ্ন


ফুপা-ফুপুর রোষানলে ভাতিজা! মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-১০-২০২২
ফুপা-ফুপুর রোষানলে ভাতিজা! মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন ফুপা-ফুপুর রোষানলে ভাতিজা! মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে সংবাদ সন্মেলন


প্রতারক চক্রের মূলহোতা, ভুয়া দুদক অফিসার ও প্রতরণা মামলায় র‌্যাব কতৃক একাধিকবার গ্রেফতার ও অশিক্ষিত কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলনের রোষানলে পড়েছে ভাতিজা। তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভাতিজা আশিক ইকবাল অন্তর

বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর একটি রেষ্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফুপা কথিত সাংবাদিক নুরে ইসলাম মিলন ও ফুপু ফাহমিদা আফরিন মৌ (পান্না) প্রতারক অভিযোগ করে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। সেই সাথে ভাতিজা অন্তর’র নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য রাজশাহী মাননীয় পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার মহাদয়ের নিকট সাংবাদিকদের মাধ্যমে আবেদন জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আশিক ইকবাল অন্তর বলেন, আমি নওগাঁ জেলার নিজ বাড়ি থেকে গত ইং (৯ মার্চ ২০১৫) সালে আমার ফুপা প্রতারক মিলন দম্পত্তীর বাড়িতে বেড়াতে আসি। তাদের বাড়িতে অবস্থান করা সময় আমার ফুফু ফাহমিদা আফরিন মৌ (পান্না) এবং আমার ফুপা নূরে ইসলাম মিলন আমাকে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত দৈনিক উপচার পত্রিকায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেয়। সেই সাথে প্রতিমাসে ৬হাজার টাকা র্ধায্য করে দেয়। তাদের প্রস্তাবে আমি রাজি হই এবং কাজে যোগদান করি। এরই মধ্যে মহানগরীর একটি জুয়ার বোর্ড থেকে চাঁদা চেয়ে ব্যর্থ হয় ফুপা মিলন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিদের নামে দৈনিক উপচার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে। সেই জের ধরে ২০১৮সালে অক্টোবর মাসে মিলনের উপরে হামলা করে কিছু ব্যাক্তিরা। ওই সময় মিলনকে বাঁচাতে আমি এগিয়ে গেলে হামলাকারিদের পিস্তলের ছোড়া গুলিতে আমার তলপেটে গুলিবিদ্ধ হই। এ ঘটনায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪নং ওয়ার্ডে ১৫দিন ভর্তি থেকে চিকিৎসা শেষে মিলন তার বাি তে নিয়ে আসে। এরপর দীর্ঘ ৬মাস ফুপার বাসায় বিছানাগত অবস্থায় চিকিৎসা নেই।

এরই মধ্যে আমার শরীরে ২বার অস্ত্রপাচার হয়। ব্যয় বহুল চিকিৎসা খরচ আমার বাবা এবং আমার আত্মীয়-স্বজন বহন করে। ওই সময় প্রতারক মিলন আমার চিকিৎসার নাম করে বিভিন্ন অফিস আদালতসহ- বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে চিকিৎসার নাম করে অর্থ সংগ্রহ করে ৯০ভাগ অর্থ আত্মসাৎ করে ।

আমি সুস্থ হয়ে আবারো উপচার পত্রিকায় পূণরায় যোগদান করি। এরই মধ্যে প্রতারক মিলনের বাড়ি থেকেই আমার বিবাহ হয়। সাংসারিক খরচ চালাতে আমার অর্থের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দৈনিক উপচার পত্রিকাটি নিয়মিত ছাপা হয় না। আবার আমার বেতনও পরিশোধ করতো না। বেতনের বিষয়ে বল্লেই গালিগালাজসহ রাজশাহী থেকে নওগাঁ চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতো। সব মিলিয়ে আমি কোনো উপায় না পেয়ে জীবিকার তাগিতে নিজ জেলা নওগাঁয় নিজ বাড়িতে ফিরে যাই। আমার গ্রামের বাড়ি ফিরে যাওয়ার ৩ মাসের মাথায় নওগাঁ জেলার মান্দা থানায় একটি মিথ্যা চুরির অভিযোগ দায়ের করে ফুপা মিলন। তার উদ্দেশ্যই ছিলো আমাকে ব্ল্যাকমেইল করা। তারপরও আমি ফিরে না আসায় দফায় দফায় হাত পা ভেঙ্গে দেওয়াসহ প্রাণ নাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে। এরই মধ্যে রাজশাহীর মোহনপুর থানার গোছাবাজার এলাকায় দৈনিক উপচার পত্রিকার নামধারী সাংবাদিক আসগর আলী সাগরকে অজ্ঞাত কারনে মারপিট করে সেখানকার স্থানীয় জনগন।

এ ঘটনায় আমাকে ফাঁসাতে প্রতারক মিলন বাদি হয়ে আমাকেসহ কয়েকজনের নামে মামলা করেছে। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ সময় তিনি বলেন, সে প্রতারণা করে মোটা অংকের টাকা হাতানো মামলায় তিনবার র‌্যাব-৫, এর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া রাজশাহী শহরজুড়ে তার প্রতারনা ও ব্যাকমেইল চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। তার দৃশ্যমান আয়ের কোন উৎস নাই তবে উপচার পত্রিকার কার্ড বিক্রি করা দৃশ্যমান। অপকর্মই তার কর্ম। রাজশাহী মহানগরীতে তার একটি নিজস্ব প্রতারক সিন্ডিকেট রয়েছে। তার বিষয়ে কেউ মুখ খুললেই হামলা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়। তার সহযোগিদের নিয়ে প্রতারক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে মিলন। অশিক্ষিত ব্যক্তি হওয়ার পরও নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারনা ও ব্যাকমেইল অব্যাহত রেখেছে।

এসময় তিনি বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা সাজানো মামলায় জড়ানো হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীর বিচার দাবি করেন এবং সেই সাথে আমার নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য রাজশাহী মাননীয় পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ সুপার মহাদয়ের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।