২৮ মার্চ ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৪:০৩ অপরাহ্ন


নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো- মীর ইকবাল
স্টাফ রিপোর্টার :
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২২
নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো- মীর ইকবাল নির্বাচিত হলে জেলা পরিষদের উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো- মীর ইকবাল


আগামী (১৭ অক্টোবর) আসন্ন রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল-এঁর কাপ-পিরিচ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার লক্ষ্যে বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার পবা উপজেলার দামকুড়া, হড়গ্রাম ও হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদে, বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ এবং বাগমারা উপজেলার গণিপুর ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী মতবিনিময় সভা এবং রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 সভায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলাম। কোন কিছুর প্রত্যাশা করি নাই, আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার খেতাব পেয়েছি। আমার প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছিল ঠিক তখনই ওই পরাজিত শক্তি পাকিস্তানী এদেশীয় এজেন্টরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা ৭৫এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশকে আরো পিছিয়ে দিয়ে আবারো পাকিস্তানী ধারায় দেশ পরিচালিত হচ্ছিলো। আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই আমরা পৃথিবীর উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশের কাতারে আমাদের দেশ বাংলাদেশ অবস্থান করতো কিন্তু সেটা হয় নি, ষড়যন্ত্রকারীরা সেটা চায় নি, তারা চায় নি বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াক। ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে দীর্ঘ আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার কাজে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

তিনি আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকন্যার একজন সামান্য কর্মী হিসেবে তাঁর এই উন্নয়ন কর্মকান্ডে আপনাদের সাথে নিয়ে অংশগ্রহন করতে চাই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের উন্নয়ন ও সহযোগী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। জেলা পরিষদে সরকার কর্তৃক যে বরাদ্দ আসবে তার সুষম বন্টন করাই হবে আমার কাজ। অতীতের ন্যায় আপনাদের সাথে নিয়ে জেলা পরিষদের সার্বিক উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবো। আমি বিজয়ী হলে এই বিজয় হবে আপনাদের, এই বিজয় হবে আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা’র।

সভাগুলোতে সভাপতিত্ব করেন যথাক্রমে দামকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন, হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজভী আল হাসান মুঞ্জিল, গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম, গণিপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান মন্ডল, রাজশাহী জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক তাজবুল ইসলাম।    

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ডাবলু সরকার, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাকিরুল ইসলাম সান্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. লায়েব উদ্দিন লাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ. কে. এম আসাদুজ্জামান, আলফোর রহমান। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিউল আলম রবি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মকিদুজ্জামান জুরাত, উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ সিদ্দিক আলম, সদস্য খায়রুল বাশার শাহীন, মোঃ মাসুদ আহম্মেদ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ আলী মুনমুন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলী আযম সেন্টু, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব বিমল সরকার, তানোর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও উপজেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক আরব আলী, বাগমারা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সদস্য মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদ, পবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি ওয়াজেদ আলী খাঁন, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জেডু সরকার, সাবেক ছাত্রনেতা আলিমুজ্জামান বকুল, প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।