২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:১৪:১৬ অপরাহ্ন


উত্তরের ১১ জেলার জন্য সুখবর!
অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২২
উত্তরের ১১ জেলার জন্য সুখবর! ফাইল ফটো


২০২৩ সালের জুনে সিএনজি স্টেশন ও শিল্প উৎপাদনে গ্যাস পাচ্ছে রংপুর ও নীলফামারীবাসী। শিগগিরই শেষ হবে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত পাইপলাইন বসানোর কাজ। তারপরই পীরগঞ্জ, রংপুর ও সৈয়দপুরে ৩টি স্টেশন থেকে আশপাশের ১১ জেলায় লাইন সম্প্রসারণ ও সাবস্টেশন থেকে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এমন আশার কথা জানিয়েছে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)।

সরেজমিন দেখা যায়, বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মধ্যে ১৪৫ কিলোমিটার বসানো হয়ে গেছে। দুর্ঘটনাসহ ঝক্কিঝামেলা এড়াতে শহরের বদলে গ্রামাঞ্চল দিয়ে প্রধান সরবরাহ লাইন বসানো হয়েছে।

পীরগঞ্জ, রংপুর ও সৈয়দপুরে ৩টি গ্যাস স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে সমান গতিতে। শুরুতে ৩০ ইঞ্চি পাইপলাইনে প্রতিদিন অন্তত ৫০০ মিলিয়ন এমএমসি এফডি গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এরই মধ্যে অধিগ্রহণসহ ভূমিসংক্রান্ত সব প্রক্রিয়াও শেষের পথে।

রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, ‘পাইপলাইনের কাজগুলোর জন্য তাদের দখল বুঝিয়ে দেয়াসহ আমাদের যে পরিকল্পনাগুলো আছে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব শেষ হবে ইনশাআল্লাহ।’

বগুড়া, রংপুর ও সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এসএম আমির হোসেন জানান, সৈয়দপুরের বিভিন্ন কারখানা, নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেড, পীরগঞ্জ ও রংপুরের বিভিন্ন শিল্প ইউনিটে গ্যাস সরবরাহ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।

তিনি বলেন, এ স্টেশনের মাধ্যমে রংপুরে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। এ ছাড়া সৈয়দপুরে যে স্টেশনটা হচ্ছে সেটার সাহায্যে উত্তরা ইপিজেড ও আশপাশের জেলায় গ্যাস যাবে। ফিলিংস্টেশন ও সিএনজি এর সুযোগ-সুবিধা পাবে। আর সরকার সুযোগ দিলে বাসাবাড়িতেও গ্যাস যাবে।

বগুড়া, রংপুর ও সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের উপব্যবস্থাপক জহুরুল কবীর জানান, বিদ্যুৎ প্লান্ট, শিল্প, বাণিজ্যিক সংযোগই শুধু নয়, দেশে গ্যাসের মজুদ বাড়লে ভবিষ্যতে আবাসিক সংযোগও পাবেন উত্তরের ৮ জেলার মানুষ।

তিনি বলেন, আমাদের ল্যান্ড অ্যাকুইজেশনের কাজ শেষ। বাকি কাজ আগামী সপ্তাহে শুরু হয়ে যাবে।

২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজটি চলতি বছরে জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনাক্রান্তিতে বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। তবে ১,৩৭৮ কোটি টাকার এ প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় তাতে বাড়ছে না।