কথা বলার সক্ষমতা আল্লাহর দেওয়া সেরা নেয়ামত। তবে কথা যত কম বলা যায় ততই কল্যাণ। কারণ অনর্থক বেশি কথা বলায় সমাজে মানুষের গুরুত্ব কমে যায়। শুধু তা-ই নয়, বিনা প্রয়োজনে অনর্থক বেশি কথা বলার কারণে অনেক সময় ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, অনর্থক কথা বলা ব্যক্তিকে তিনি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যাদেরকে আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি এবং যারা কেয়ামতের দিন আমার থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করবে, তারা হলো সেই সব লোক-
১. যারা অনর্থক বেশি কথা বলে।
২. যারা অন্যকে হেয় বা তুচ্ছ জ্ঞান করে।
৩. যারা অহংকার প্রদশন করে।’ (তিরমিজি)
সুতরাং অনর্থক বেশি কথা বলা, বিনা প্রয়োজনে কথা বলে কাউকে ছোট করা, কিংবা কথায় অহংকার প্রকাশ পেলো কিনা তা সচেতনভাবে খেয়াল করা জরুরি। এ বিষয়গুলো থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারা মানেই মুক্তির পথে এগিয়ে যাওয়া। তা না হলে কেয়ামতের দিন আমাদের জন্য শাফায়াতকারী প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না। তাই সবার কথাবার্তা হোক পরিমিত ও সংযত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরিমিত ও সংযত কথাবার্তা বলার তাওফিক দান করুন। আমিন।