২০১৯ সালের সরকারবিরোধী আন্দোলনের তিন বছরপূর্তিতে শনিবার (০১ অক্টোবর) রাজধানী বাগদাদে জড়ো হন শত শত মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে দুপক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ আহত হন অন্তত ৬৪ জন।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, শনিবার বাগদাদের তাহরির স্কয়ারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভের সময় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে স্লোগানে স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রাজপথ। বেকারত্ব দূর করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। পাল্টা জবাবে, নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়ে বিক্ষোভকারীরা। শুরু হয় সংঘর্ষ। দুপক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত পুরো এলাকা। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ আহত হন অনেকে।
স্থানীয় একজন বলেন, আমরা ঘরে বসে থাকা বেকার লোকজনের দাবি আদায়ে কথা বলেছি। আমাদের কোনো কাজ নেই, নেই কোনো চাকরি। আর এ দেশের শহীদদের রক্ত একেবারে বৃথা যাচ্ছে। তাই আমরা আজ এখানে।
আরেকজন বলেন, কোনো সরকারই আমাদের কথা চিন্তা করে না। সবাই নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত। আমরা খুব জলদি এর একটা সমাধান চাই।
এর আগে আন্দোলনকারীদের রুখতে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোতায়েন করা হয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য। বসানো হয় তল্লাশিচৌকি। সরকারি বাসভবনসহ বিদেশি দূতাবাসের বাইরেও জোরদার করা হয় নিরাপত্তা।
২০১৯ সালে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ মানুষ। টানা আন্দোলনে পুলিশি সহিংসতায় প্রাণ হারান সাড়ে পাঁচ শতাধিক মানুষ। বাগদাদের পাশাপাশি ইরাকের অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়ে সহিংস বিক্ষোভ।