এক যুগ পরে বউ হারালেন মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে জীবন। তার বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের হাসনীপুর গ্রামে। এক যুগ আগে তাহেরপুর বাজারে প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কলি প্রামানিকের সাথে। ওই সময় অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই ছাত্রীর সাথে। পরে ওই ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে জীবন। সে সময় ধর্মপাল্টিয়ে তার নাম রাখা হয় অন্তরা বেগম। নিজের নাম পরিবর্তন করলেও পিতা-মাতার নাম ঠিকানার পরিবর্তন হয়নি। তবে জীবনের সংসারে থেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে অন্তরা।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, জীবন ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে শনিবার রাতে একই ইউনিয়নের কামারখালি গ্রামের আব্দুল জব্বার এর ছেলে সাহিদুল ইসলামের সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় পরিবারের লোকজন তাদেরকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এর আগেও তারা কয়েকবার শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন বলে জানাগেছে।
অশালীন কাজের সময় ধরা পড়ার পর জীবনের বাড়িতে থেকেই অন্তরা বেগম তার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমান জীবনকে তালাক করে। সেই সাথে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়া সাহিদুল ইসলামের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় অন্তরা বেগম। এমন ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর সরকার বলেন, ছেলে-মেয়ে উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। তারা একে অপরকে বিয়ে করবে বলে সম্মত হয়। ছেলে-মেয়ের সম্মতিতেই রাতে বিয়ে সম্পন্ন করা হয়। তবে এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান জীবন বাড়িতে ছিলেন না।