চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের কোয়ায়মারি এলাকায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) পরিচালিত গভীর নলকূপের ড্রাইভারকে রাতের খাবার দিতে গিয়েছিল এক গৃহবধূ (৪০)। পূর্বের পরিচিত হওয়ায় এ আপ্যয়ন। সেখানই গভীর নলকূপের ড্রাইভার এর ঘরে দু’জনকে আটকে দেয় এলাকার ১০/১২ জন যুবক। তাদের অভিযোগ, ওরা দু’জন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যবসায়ী শহিদুলের দোকানে বসে এলাকার যুবক রুবেলকে সভাপতি করে সালিসি বোর্ডের মাধ্যমে অভিযুক্ত ড্রাইভারকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ গৃহবধূকে ১০ হাজার দেয়া হয়। বাকী ৫ হাজার টাকা সালিসিগন ও তথাকথিত সাংবাদিক দুলাল মিলে ভাগ করে নেয়। অভিযুক্ত ড্রাইভার হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের কলোনী ডাইংপাড়া মহল্লার মোশারফ আলীর ছেলে হাইয়ুল(৪৫)। অভিযুক্ত ড্রাইভার জানায়, তারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি কোন অপকর্মে জড়িত নই। গৃহবধূ জানায়, এলাকার ছেলেরা মিথ্যা অপবাদে আমাদের ফাঁসিয়েছে। আমি পূর্ব পরিচিত হওয়ায় হাইয়ুলকে খাবার দিতে গেছিলাম। সালিশের সভাপতি রুবেল আলীর মতে, রাতে তাদের দু’জনকে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে আটক করে বিচার করা হয়েছে। জরিমানার ১০ হাজার টাকা গৃহবধূকে ও বাকী ৫ হাজার আমরা ও সাংবাদিক দুলাল মিলে ভাগ করে নিয়েছি।
রহনপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সালিশে আমি উপস্থিত ছিলাম। ডিপের মধ্যে ওইদিন ছেলে ও মেয়েকে এক সাথে পেয়ে রুবেল সহ আরও অনেকেই মিমাংসা করেছে। আমি নিজেই সালিশ কমিটির সভাপতি রুবেলকে তার পরের দিন সোমবার ১৫ হাজার টাকা দিয়েছি । ওই রাতে তাদের অশ্লীল কাজ করতে দেখেনি। তারা নাকি আগে এ ধরনের কার্যকলাপ করেছে। তাই তাদের জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রহনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাবের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঔ রাতের ঘটনাটি আমি পুরোপুরি জানিনা। তবে বিষয়টি আমি শুনেছি।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলমাস আলী সরকার জানান, আমি গত রোববার ছুটিতে ছিলাম। এমন অভিযোগ এখন পর্যন্ত পায়নি। কেউ অভিযোগ করলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।