চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বেশ কিছুদিন থেকে চুরি ও ডাকাতের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের বেলালবাজার-আড়গাড়া সড়কে কুচ্ছাগাড়া নামক স্থানে একটি অটো চার্জার ও স্টিয়ারিং গাড়ি ডাকাতের কবলে পড়েছে। এতে অটোতে থাকা ৮ জন যাত্রীর কাছ থেকে ৩টি মোবাইল, ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল ও একটি গলার হার সহ ৫/৬ ভরি নূপুর/ বিছা ডাকাতি করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। একই সময়ে আরও একজন স্টিয়ারিংয়ে থাকা চালক এর কাছ থেকে একটি মোবাইল ও টাকা নিয়ে গেছে।
ডাকাতির কবলে পরা চৌডালা ইউনিয়নের মোমিনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলী জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে আমরা বিয়ে বাড়ির দাওয়াত খেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে কুচ্চাগাড়া নামক স্থানে ১০/১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপরে হামলা চালায়। এতে গাড়িতে থাকা ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ডাকাতরা নিয়ে গেছে। গাড়িতে থাকা আমার ভাতিজি নুরেশা বেগমের কাছ থেকে গলায় হাসুয়া ধরে হত্যার হুমকি দিয়ে কানের দুল ছিঁড়েছে ও পরনে পরে থাকা স্বর্ণালংকার ডাকাতরা নিয়ে গেছে। আরও ২জন মহিলার কাছ থেকে স্বর্ণালংকারও নিয়ে গেছে। এ ডাকাতি হওয়ার পরে আমি সহ আমার পুরো পরিবার চরম আতঙ্কে রয়েছে। থানায় অভিযোগ করবো, তাতেও অনেক ভয় করছি। আজকে থানায় অভিযোগ করবে বলে প্রতিবেদককে জানান।
ডাকাতির কবলে পরা অটো চার্জারের যাত্রী নুরেসা বেগম জানান, ডাকাতদের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল আর তাদের হাতে অনেক ধারালো অস্ত্র ছিল। আমার গলায় হাসুয়া দিয়ে আমাকে বলছিল তোর যা আছে তা আমাদের দিয়ে দে। ডাকাতদের অনেক জোড়াজড়ির এক পর্যায়ে আমার সন্তান ও আমাকে হত্যা করতে চাইলে আমি তাদের আমার পরনে পরে থাকা সব স্বর্ণালংকার দিয়ে দি। তারপর আমাকে বলে তোকে গুলি করে মেরে হত্যা করব আর যা আছে তা বের করেক। ওই রাতের কথা মনে পরলে ভয়ে বুক ফেটে কান্না বের হয়। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেলাল বাজারের এক চা দোকান মালিক জানান, ওইদিন রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে আমার দোকানে তিনজন পুলিশ চা পান করছিলো। রাতে তখন ডাকাতি হচ্ছিলো। যাদের অটো ডাকাতি হয়েছে। তারা যখন বেলাল বাজারে পৌঁছে পুলিশকে ডাকাতি হওয়ার কথা বললে করে নিলো ডাকাতরা। তখন পুলিশ তাড়াহুড়ো করে ডাকাতি হওয়ার দিকে গেলো।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) আলমস আলী সরকার মোবাইল ফোনে জানান, ওইদিন যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি ছিনতাই বলা চলে। এটাতো ডাকাতি নয়। প্রতিবেদক তাঁকে ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিলে তিনি এক পর্যায়ে ডাকাতির কথা স্বীকার করেন এবং অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্ৰহন করবেন। পরে সংবাদটি না করার অনুরোধ জানান।