চিত্রনায়ক রিয়াজের শ্বশুর নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। বুধবার রাতে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার ৭ নম্বর সড়কের ২৫ নম্বর বাড়ির নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। মহসিন নামের ওই ব্যক্তি ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।
বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এ তথ্য জানতে পারে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ। বিষয়টি রাতে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা। তবে, দায়িত্বরত কর্মকর্তা নিজের নাম বলতে চাননি।
এ ঘটনা শোনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আরো দু-তিনজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গেছেন বলেও জানান দায়িত্বরত কর্মকর্তা।
ঘটনাস্থলে গেছেন ধানমণ্ডি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দেবলাল। তিনি বলেছেন, ‘রিয়াজের শ্বশুর আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত বন্দুক দিয়ে মাথায় গুলি করেছেন বলে আমরা শুনেছি। মাত্র ঘটনাস্থলে এলাম। এখনো ওই ব্যক্তির নাম নিশ্চিত হতে পারিনি। কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা জানার চেষ্টা করছি।’
নায়ক রিয়াজ জানিয়েছেন, তিনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। ঘটনার বিস্তারিত এখনো জানেন না তিনি।
আত্মহত্যার আগে ফেসবুক লাইভে এসে বার্ধক্যের নিঃসঙ্গতা নিয়ে কথা বলেন মোহাম্মদ মহসীন। সাম্প্রতিককালে নিকট আত্মীয়দের মৃত্যুর ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি ক্যান্সার আক্রান্ত। আমার ব্যবসা এখন বন্ধ। আমি বাসায় একাই থাকি। আমার এক ছেলে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। আমার ভয় করে যে আমি বাসায় মরে পড়ে থাকলে, লাশ পঁচে গেলেও কেউ হয়তো খবর পাবে না।
মহসিন খান বলেন, পিতামাতা যা উপার্জন করে তার সিংহভাগ সন্তানদের পেছনে খরচ করি। প্রকৃত বাবারা না খেয়েও সন্তানদের খাওয়ানোর চেষ্টা করে, ফ্যামেলিকে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ফ্যামেলি অনেক সময় বুঝতে চায় না। নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারলাম না। যারা দেখছেন তাদের সাথে এটাই শেষ দেখা সবাই ভালো থাকবেন।
এরপর কালেমা পড়তে পড়তে নিজের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করেন তিনি। তার আগে পিস্তলের লাইসেন্স দেখান। বলেন, আমি যেটা দিয়ে আত্মহত্যা করছি সেটি ইলিগ্যাল কিছু না। এটির লাইসেন্স আছে। সেটি নবায়নও করা হয়েছে। আমি চলে যাবো। আত্মীয় স্বজন যারা আছো, যেহেতু বাবাও আমাকে জায়গাটা দেয়নি, আমি যে কবরস্থানটা করেছি সেখানে আমাকে দাফন করো না। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি কবরস্থান হয়েছে, সেখানে তোমরা আমাকে দাফন করে দিও। প্রত্যেকটা লোক আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমার বাবা, মা, ভাইরা, প্রত্যেকটা লোক, এভরিওয়ান।
রাজশাহীর সময় / এম আর