বাস ড্রাইবারের লালসার শিকার হতে হল এক নার্সারির শিশুকন্যাকে৷ ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ভোপালে৷ ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ৷ সামান্য নার্সারির শিশুকন্যার প্রতি এ হেন আচরণের ভয়াবহতার কোনও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তাঁরা৷ পুলিশ প্রাথমিক তদন্তের পর জানিয়েছে, স্কুলের বাস চালক এই ধর্ষণের ঘটনার মূল অভিযুক্ত৷ শুধু তাই নয়, এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে সেই বাসের হেল্পারও৷ হেল্পার মহিলা ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ৷
বাসে এই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে অনেক পরে৷ সে দিনের ঘটনার পর বাড়িতে ফিরে গিয়েছিল ওই নির্যাতিতা শিশুকন্যা৷ তারপর ওই শিশুকন্যার মান তার শরীরে কয়েকটি দাগ দেখতে পান৷ তিনি তারপর বিষয়টি নিয়ে জানতে চান ওই শিশুর কাছে৷ সে সব বিস্তারিত মাকে জানায়৷ তার পর পরিবার স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে কর্তৃপক্ষ সব অভিযোগ অস্বীকার করে৷
তারপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার৷ পুলিশে জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই বাসের চালককে৷ বাসের চালকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে৷ একটি ধর্ষণের মামলাও রুজু করা হয়েছে৷ পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে ওই গাড়ির মহিলা সহকারীকেও, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি কুকাণ্ড চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন৷
ঘটনার প্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেছেন, ঘটনায় জড়িত দু’জনকেই পুলিশি তৎপরতায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷ স্কুল কর্তৃপক্ষও ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই কারণে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ স্কুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, যদি তাঁদের দোষ দেখা যায়৷