দিনের শুরুতে ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পরপর এ দোয়া পড়তেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এ আমলটি প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদার। কেননা মুমিন মুসলমানের তো হালাল রিজিক, উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমলই জীবনে একমাত্র চাওয়া-পাওয়া। হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি এভাবে এসেছে-
হজরত উম্মু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজরের নামাজ পড়ে সালাম ফিরিয়ে (প্রতিদিন সকালে) বলতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَرِزْقًا طَيِّبًا وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফিআ ওয়া রিযকান তায়্যিবা ওয়া আমালান মুতাকাব্বালা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উপকারী জ্ঞান প্রার্থনা করছি, উত্তম-পবিত্র রিজিক কামনা করছি এবং কবুল হওয়ার মতো কর্ম তৎপরতা কামনা করছি।’ (ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ)
সুন্নাতের অনুসরণে জীবন-যাপন মানুষের মুক্তির একমাত্র পথ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে দেখিয়েছেন সঠিক পথ। দিয়েছেন সুখ ও বরকতময় জীবন পাওয়ার পাথেয় ও দিকনির্দেশনা। তিনি নিজে আমল করেছেন তাঁর উম্মতকে আমল করতে বলেছেন। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিয়মিত আমলগুলো মুমিন মুসলমানদের জন্য অনুকরণীয় শিক্ষা।
এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মতি ফজরের নামাজের পরপরই আল্লাহর কাছে হালাল রিজিক কামনা করতেন। এমন জ্ঞান কামনা করতেন, যাতে মানুষের উপকার হয়। আর নিজের আমলগুলো কবুল হওয়ার জন্যও প্রার্থনা করতেন। এটি মূলত উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো একটি দোয়া ও নসিহত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে প্রতিদিন ফজরের নামাজের সালাম ফেরানোর পরপর হাদিসে নির্দেশনা অনুযায়ী এ আমল ও দোয়াটি যথাযথ করার তাওফিক দান করুন। সবার জন্য হালাল রিজিক, উপকারি জ্ঞান এবং নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।