যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা নাইন ইলেভেনের ২১ বছর পূর্তি রোববার (১১ সেপ্টেম্বর)। ২০০১ সালের এ দিনে ছিনতাই করা বিমান নিয়ে আল কায়েদা জঙ্গিদের চালানো হামলায় বিধ্বস্ত হয় টুইন টাওয়ার। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ছিনতাই করা ৪টি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় জঙ্গিগোষ্ঠী আল কায়েদা। ধ্বংস হয় পাশের আরেকটি ছোট ভবনও। হামলার শিকার হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনও।
১৯ জঙ্গি চারটি বিমান ছিনতাই করে দুটি বিমান নিয়ে ১১০ তলাবিশিষ্ট টুইন টাওয়ারের দুদিক থেকে হামলা চালায়। প্রথম বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে আঘাত হানে নর্থ টাওয়ারে। আর দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয় সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। মুহূর্তেই ধসে পড়ে সুউচ্চ ভবনটি। গোটা শহরেই ধোঁয়ার কুণ্ডলী ছড়িয়ে পড়ায় আটকা পড়ে বহু মানুষ।
এর কিছুক্ষণ পর তৃতীয় বিমানটি পেন্টাগনের সদর দফতরের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে। আর চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভানিয়ায়।
নজীরবিহীন ওই সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩ হাজার মানুষ। আহত হন কয়েক হাজার। কলঙ্কজনক ইতিহাসের সাক্ষী হয় যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্ব। সেই সঙ্গে পাল্টে যায় বিশ্ব রাজনীতির বহু সমীকরণ।
এ ঘটনার জেরে হামলার মূল হোতা আল কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের নাম চলে আসে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। শুরু হয় ওসামা বিন লাদেনকে খোঁজার অভিযান। আর তা শেষ হয় ২০১১ সালে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন বাহিনীর গোপন অভিযানে লাদেন নিহত হওয়ার মধ্যদিয়ে।