জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ও ‘শান্তির সংস্কৃতি’ নিয়ে ফোরাম আলোচনা


ইমা এলিস , আপডেট করা হয়েছে : 07-09-2022

জাতিসংঘে বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশিপ রেজুলেশন ও ‘শান্তির সংস্কৃতি’  নিয়ে ফোরাম আলোচনা

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক বাংলাদেশের ফ্ল্যাগশীপ রেজুলেশন এর উপর বার্ষিক উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম আহ্বান করেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সাধারণ পরিষদ হলে অনুষ্ঠিত উক্ত ইভেন্টে বিপুল সংখ্যক সদস্য রাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। 

এবারের ফোরামের প্রতিপাদ্য ছিল “শান্তি সংস্কৃতি: শান্তি বিনির্মাণে অগ্রসর হওয়ার জন্য ন্যায়বিচার, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব”। উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাতিসংঘ পিসবিল্ডিং সাপোর্ট অফিসের সহকারী মহাসচিব, যুব বিষয়ের জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং ইউনিভার্সিটি অব পিস এর রেক্টর। ফোরামটিতে সদস্য রাষ্ট্রসমূহের অংশগ্রহণে একটি প্লেনারি পর্ব রাখা হয়। এছাড়া জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় একটি প্যানেল আলোচনা যেখানে জাতিসংঘ এবং সুশীল সমাজের বিশেষজ্ঞগণ অংশগ্রহণ করেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুলেশন প্রবর্তন, সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “জাতি হিসাবে আমাদের জন্মের মুহুর্ত থেকেই আমরা এমন একটি বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে শান্তি ও ন্যায়বিচারের জন্য সমস্ত মানুষের আকাঙ্খার বাস্তবায়ন ঘটবে। এই প্রতিশ্রুতিই আমাদেরকে ১৯৯৯ সালে শান্তির সংস্কৃতির ঘোষণা ও কর্মসূচি বিষয়ক সাধারণ পরিষদ রেজুলেশন প্রবর্তন করতে উৎসাহিত করেছিল, যার মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের স্থায়ী প্রতিশ্রুতির একটি রূপ আমরা দিতে পেরেছি”।

রাষ্ট্রদূত মুহিত “শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নিতে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতার কথাও তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বর্তমান শান্তিবিনির্মাণ কাঠামো ইতিবাচক শান্তিকে এগিয়ে নিতে একটি কার্যকর উপায় তুলে ধরতে পেরেছে। এটি সংঘাতের প্রাদুর্ভাব, ভয়াবহতা, ধারাবাহিকতা ও পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এর মূল কারণগুলিকে সমাধান করে শত্রুতার অবসান ঘটানোর পথ দেখায়। এজন্য মনোভাবের পরিবর্তন, প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণ, এবং বিদ্যমান কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা দরকার যা আমাদেরকে শান্তিপূর্ণ সমাজের দিকে ধাবিত করে”।

প্লেনারি এবং প্যানেল আলোচনায় বক্তাগণ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শান্তির সংস্কৃতির ধারণার প্রচারে বাংলাদেশের নেতৃ্ত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁরা কোভিড-১৯ অতিমারি এবং চলমান সংঘর্ষের কারণে বর্তমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেওয়ার কথা তুলে ধরেন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]