চীনের সিচুয়ান প্রদেশে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ভূমিকম্পের কারণে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস দেখা দেয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ব্যাহত হচ্ছে বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা। খবর সিএনএন।
চীনা গণমাধ্যমের বরাতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম জানায়, স্থানীয় সময় সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে সিচুয়ানের প্রাদেশিক রাজধানী চেংদুর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী প্রদেশগুলোও কেঁপে ওঠে। আতঙ্কে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। অনেকেই এ সময় ঘর থেকে বের হয়ে আসেন রাস্তায়।
ভূকম্পনের প্রভাবে সিচুয়ানের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা দেয় ভূমিধস। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল সংলগ্ন এলাকার শত শত ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় বহু এলাকা। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা সিচুয়ান প্রদেশে।
চীনের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চেংদু থেকে ২২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের লুডিং পার্বত্য এলাকায়। যদিও এতে কেন্দ্রস্থলের ৫০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে থাকা বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, প্রাদেশিক গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভূমিকম্পের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে উদ্ধারকারী সংস্থার সদস্যরা। এ সময় ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে হতাহতদের উদ্ধার করতে দেখা যায় তাদের। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উদ্ধারকাজে গতি আনতে এরই মধ্যে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
সিচুয়ানে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে ২০০৮ সালের মে মাসে। ওয়েনচুয়ান কেন্দ্রিক ৮ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৭০ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়।