সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়ার উপায়


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 06-09-2022

সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়ার উপায়

শয়তানকে পরাজিত করে গভীর মনোযোগের সঙ্গে সেজদা দিতে পারা সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যের বিষয়। এমন কিছু উপায় আছে, যেভাবে সেজদা দিলে শয়তান পরাজিত হয় মুমিন সফল হয়। সেজদায় গভীর মনোযোগ ধরে রাখার সেই উপায়গুলো কী?

সেজদায় আল্লাহর সঙ্গে কথা বলে মুমিন। মহান রবের প্রশংসা গুণগান গায়। নিজেদের মনে একান্ত অপারগতাগুলো তুলে ধরে। তাই সেজদাকে প্রাণবন্ত করে তোলা খুবই জরুরি। সেজগায় গভীর মনোযোগী হতে যে কাজগুলো করতে হবে। তহোলো-

১. আল্লাহর সামনে নিজেকে তুচ্ছ মনে করা: মানুষ আল্লাহর সামনে নাক ও কপাল ঠেকিয়ে সেজদা করেন। আল্লাহর বড়ত্ব ও মমত্বের কাছে নিজেকে তুচ্ছ মনে করার মাধ্যমে সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়া যায়। আল্লাহর বড়ত্ব ও মমত্বের কথা ভাবার সঙ্গে নিজেদের গুনাহের বোঝাও চিন্তা করা যায়। তখনই নিজেকে মনে হবে তুচ্ছ। এ অনুভূতিই মানুষকে জমিনে কপাল ঠেকিয়ে আল্লাহর সেজায় লুটিয়ে পড়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দেবে।

২. আল্লাহর নৈকট্য পাওয়ার অনুভূতি: নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বান্দা যখন সেজদায় থাকে তখন আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। সেজদার সময় এই হাদিসটি বেশি বেশি স্মরণ রাখা জরুরি। এ হাদিসের স্মরণও সেজদায় গভীর মনোযোগী হওয়ার উপায়।

৩. ব্যথিত হৃদয়ের প্রার্থনা: দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনের সঙ্গে সাক্ষাতে মানুষের হৃদয় যেমন বিগলিত হয়ে পড়ে, তেমনি আল্লাহর সঙ্গে সেজদায় সাক্ষাৎ করতে পেরে এর চেয়েও বিগলিত হওয়া জরুরী। আপনজন সবসময় খাওয়ায় না, পরায় না। কিন্তু মহান আল্লাহ মানুষকে সবসময় রিজিক দেন, প্রতিপালন করেন। প্রতি মুহূর্তে অবাধ্যতা সত্ত্বেও অক্সিজেন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখেন। আবার অন্যায় করলে সঙ্গে সঙ্গে শাস্তিও দেন না। কাজেই ব্যথিত হৃদয়ে প্রার্থনায় আল্লাহর কাছে নিজেকে সঁপে দিন।

৪. গুনাহ কমতে থাকার অনুভূতি: বান্দা যখন জমিনে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে, তখন তার গুনাহ ঝড়ে পড়তে থাকে। তাই নামাজের মধ্যে মনকে দিক-বিদিক না ছুটিয়ে গুনাহ কমতে থাকার অনুভূতি জাগ্রত রাখা। এক সময় দেখা যাবে সেজদা মানুষকে গুনাহ থেকে হালকা হওয়ার অনুভূতি দিচ্ছে।

৫. আল্লাহর আনুগত্যের অনুভূতি: সেজদা শুধু মহান আল্লাহর জন্য। মানুষ সেজদা শুধু আল্লাহকেই করে। মানুষের জীবন মরণ, সবকিছু আল্লাহর জন্যই, এই অনুভূতি নিয়ে সেজদার জিকিরে (সুবহানা রব্বিয়াল আলা) নিজেকে ডুবিয়ে দেওয়া।

৬. শয়তানকে হতাশ করার অনুভূতি: হাদিসের বিশুদ্ধ বর্ণনায় এসেছে, বনি আদম যখন সেজদা দেয়, তখন শয়তান হতাশ হয়ে পড়ে। সে কারণেই মুমিন বান্দা আল্লাহর জন্য জমিনে সেজদা দিতে পেরে আনন্দিত হয়। এ আনন্দ শয়তানকে হতাশ করার আনন্দ। এ আনন্দ মহান রবের জন্য গভীর মনোযোগের সঙ্গে সেজদায় দিয়ে নেকট্য অর্জনের আনন্দ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ পদ্ধতিগুলো অনুসরণ ও অনুকরণে মাধ্যমে সেজদায় গভীর মনোযাগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। বান্দাকে তার প্রভুর সঙ্গে সুন্দর ও সর্বোত্তম সম্পর্ক গড়ে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]