প্রকল্পের জরিপ এলাকার কোনোটি বড়, কোনোটি ছোট হলেও প্রত্যেকটিতেই লেগেছে সমপরিমাণ যন্ত্রপাতি আর শ্রমিক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে টেন্ডার ছাড়াই আর্ণিব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি কোম্পানিকে বিপুল অঙ্কের টাকার কাজ পাইয়ে দিয়েছেন বাপেক্স কর্মকর্তারা। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির দাবি, দক্ষ বলেই কাজ পেয়েছেন তারা।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অপপ্রচার হচ্ছে, যেগুলো সত্য সেগুলো বলার মতো যদি আপনার সাহস থাকে তাহলে আপনি আগে মোহাম্মদ আলীকে (বাপেক্স কর্মকর্তা) ইন্টারভিউ করে আনবেন। তারপর আমাকে প্রশ্ন করবেন, আমি উত্তর দেব।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির ফল পুরো জ্বালানি খাতকেই টানতে হয় লম্বা সময় ধরে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এজাজ হোসেন বলেন, যে কোম্পানিগুলোকে আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্ভর করা দরকার, সেখানেই যদি এমন হয় তাহলে আমরা আরও সংকটে পড়ে যাব। বাপেক্স দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লে সামনে গ্যাস সংকট প্রকট হবে বলেই মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। তার মতে, এসব অপকর্ম বন্ধ না হলে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়বে জ্বালানি খাত।
এসব অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুদকও। বিভিন্ন সময়ে এই প্রকল্পে যুক্ত থাকা বাপেক্সের দশজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে করা হয়েছে তলব। প্রকল্পের অডিট রিপোর্টের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ তদন্তে পাওয়া তথ্য দুদকে হস্তান্তর করতে বাপেক্সের এমডিকে চিঠিও দিয়েছে সংস্থাটি।