সন্তান যেন বুদ্ধিমান ও মেধাবী হয়- এ প্রত্যাশা সব বাবা-মায়েরই থাকে। এ কারণেই গর্ভবতী নারী শিশুর কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যকর খাবার খান এবং স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে চলেন। পুষ্টিকর খাবারের অভাবে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার জন্ম নেওয়া শিশু পরর্তিতে নানা সমস্যায় ভুগতে পারে।
যেহেতু বুদ্ধিমান ও মেধাবী সন্তান চান বাবা-মায়েরা, কাজেই তার মস্তিষ্ক গঠনের ওপর জোর দিতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। জন্মের প্রথম দুই বছর সন্তানের জন্য দরকার মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশ। এর জন্য গর্ভাবস্থায় যে খাবারগুলো খেতে হবে তা জেনে নিন।
মাছ: স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল ইত্যাদি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড সমৃদ্ধ। শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই জরুরি। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মায়েরা গর্ভাবস্থায় সপ্তাহে দুবারের বেশি মাছ খায় তাদের সন্তানের বুদ্ধিমত্তা বা আইকিউ বেশি হয়।
ডিম: ডিম অ্যামিনো এসিড কোলিন সমৃদ্ধ। যাতে মস্তিষ্কের গঠন ভালো হয় ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। গর্ভবতী নারীদের দিনে অন্তত দুটো করে ডিম খাওয়া উচিত যার থেকে কোলিন মেলে। ডিমে থাকা প্রোটিন ও আয়রন জন্মের সময় ওজন বাড়িয়ে দেয়।
দই: সন্তানের স্নায়ুকোষ গঠনের জন্য আপনার শরীর প্রচুর পরিশ্রম করে। এ জন্য আপনার বাড়তি কিছু প্রোটিন লাগবে। আপনাকে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। যেমন : দই। দইয়ে ক্যালসিয়াম আছে যা গর্ভাবস্থায় প্রয়োজন হয়।
আয়রন: আয়রন সন্তানকে বুদ্ধিমান হতে সাহায্য। এই খাবারগুলো গর্ভাবস্থায় অবশ্যই খাওয়া উচিত। আয়রন গর্ভের শিশুর কাছে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ ছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শে আপনার আয়রনের সাপ্লিমেন্ট খাওয়া উচিত।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরির মত ফল, ডাঁটা, টমেটো ও লাল বিন জাতীয় সবজিতে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই গর্ভাবস্থায় এই ফলগুলো আপনার সন্তানের মস্তিষ্কের টিস্যুকে রক্ষা করে ও বিকাশে সাহায্য করে।
ভিটামিন ডি: শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুব দরকার। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মায়েদের ভিটামিনের মাত্রা প্রয়োজনের চেয়ে কম থাকে তাদের বাচ্চার মস্তিষ্ক দুর্বল হয়। ডিম, পনির, মাংস, লিভার ইত্যাদি খাবারে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ভিটামিন ডি এর ভাণ্ডার সূর্যের আলো তো আছেই।
আয়োডিন: আয়োডিনের অভাব, বিশেষ করে গর্ভাবস্থার প্রথম ১২ সপ্তাহে সন্তানের আইকিউ কম করে দিতে পারে। গর্ভাবস্থায় আয়োডিনযুক্ত লবণ খান। এ ছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম, দই ইত্যাদি খেতে পারেন।
সবুজ শাক-সবজী: পালং শাকের মতো পাতাবহুল শাক, ডাল ইত্যাদি ফলিক এসিড সরবরাহ করে। এ ছাড়াও ফলিক এসিড সাপ্লিমেন্ট ভিটামিন বি-১২- এর সঙ্গে খাওয়া উচিত।