করোনাভাইরাসের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত। বিভিন্ন দেশে বেকার লাখ লাখ প্রবাসী। অনেকেই চাকরি হারিয়ে দিশেহারা। তার ওপর বিমান ভাড়া বৃদ্ধি যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থান করা বাংলাদেশির সংখ্যা প্রায় ৮ লাখের মতো। যাদের বেশিরভাগ বিভিন্ন পেশায় নিম্ন বেতনে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত।
প্রবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, আগে দুবাই থেকে ঢাকার বিমান ভাড়া ৩০ হাজার টাকা হলেও এখন তা লাখের উপর গিয়ে ঠেকেছে। সেই হিসেবে বিমান ভাড়া বেড়েছে ৪ গুন। আর এয়ারপোর্টে হয়রানি তো আমাদের প্রবাসীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
জানা যায়, করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশসহ বেশকিছু দেশের সাথে ফ্লাইট যোগাযোগ বন্ধ রাখে সংযুক্ত আরব আমিরাত। পুনরায় ফ্লাইট চালু হলে টিকেটের চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে। বিমানগুলোতে পর্যাপ্ত সিট থাকা সত্ত্বেও কৌশলে তা গোপন রেখে আসন সংখ্যা শূন্য দেখানো হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রবাসী শ্রমিকরা।
প্রবাসী কমিউনিটি নেতারা বলেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে বার বার বলা হলেও এতে তারা কোনো কর্ণপাত করছেন না। আমরা বৃহত্তর প্রবাসীদের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
রাজশাহীর সময় / এফ কে