কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি নিয়ে তৃণমূলের নতুন নয়। ইডি, সিবিআইয়ের পাশাপাশি কয়লা ও গরু পাচার বিতর্কে বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে এর আগে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এবার বাগদা ধর্ষণ কাণ্ডে বিএসএফের দুই জওয়ান গ্রেফতার হওয়ার ঘটনা নিয়ে কোমর বেঁধে ময়দানে নামছে তৃণমূল।
এক যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাগদা সীমান্তের দুই বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দুই জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতরা বিএসএফের ৬৮ নম্বর ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। ধৃতদের নাম এস পি চেরো ও আলতাব হোসেন। চেরো এএসআই পদে রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবতী বাগদা সীমান্তের কাছে জিতপুর এলাকায় জমিতে চাষের কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় দুই জওয়ান তাঁর উপর নির্যাতন চালায়।
রবিবার ওই এলাকায় প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনিতে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় ভিনরাজ্যে টিম পাঠানোর বিষয়টি তৃণমূল বছর তিনেক ধরে করে আসছে। হাথরাস কাণ্ডের সময়েও কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেনদের পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগদায় যখন ধর্ষণে নাম জড়িয়েছে বিএসএফের, এবার সেখানেও টিম পাঠাতে চলেছে বাংলার শাসকদল।
বাগদার ঘটনাকে জাতীয়স্তরেও তুলে ধরতে চাইছে তৃণমূল। দেখাতে চাইছে, এই হল অমিত শাহের অধীনে থাকা বিএসএফের ভূমিকা। এদিন শশী পাঁজা, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা ভিডিও বার্তা দিয়ে এ নিয়ে তো সমালোচনায় মুখর হয়েছেনই, তা ছাড়া পৃথকভাবে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন কুণাল ঘোষও। বাংলা, হিন্দি, ইংরেজিতে দলের প্রতিবাদের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের তিন নেত্রী।
এদিন কুণাল বলেন, ‘বিজেপি গরু পাচারের কথা বলছে। গরু পাচার হয় কী করে? সীমান্ত তো পাহারা দেয় বিএসএফ। গরুর তো আর ডানা নেই যে উড়ে উড়ে বাংলাদেশ চলে যাবে! যাদের কাজ গরু পাচার রোখা, তারা ধর্ষণ করছে।