ফরিদপুরে এক কিশোরী ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে এ ঘটনায় কিশোরীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকালে ফরিদপুরের কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম,এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত পাঁচজন হলেন, ফরিদপুর সদর উপজেলার এমারত মেম্বারের ডাঙ্গি গ্রামের শেখ সুজন (২৩), একই এলাকার ফজল শেখ (৫৫), ফরহাদ পত্তনদার (৫০), কামাল বেপারী (৫০) ও শেখ শামু (৫৮)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ফরিদপুর সদর উপজেলার এমারত মেম্বারের ডাঙ্গি গ্রামের শেখ সুজন (২৩) এই কিশোরীকে পাঁচ মাস আগে ধর্ষণ করেন। কয়েক মাস পর কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানতে পারে পরিবার। তখন সুজনের পরিবার প্রভাব খাটিয়ে সালিশ বসায়।
কিশোরীর মা বলেন, গর্ভপাত করিয়ে ক্ষতিপূরণ দেয়ার চেষ্টা করে সুজনের পরিবার। তারা সালিশের নামে ভুয়া কাবিননামায় বিয়েরও আয়োজন করেছিল।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করে। এর পরে ওই কিশোরীকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
কোতয়ালী থানার ওসি এম,এ জলিল বলেন, কিশোরী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে তার মা ১০ জনের নামে মামলা করেছেন। তাদের মধ্যে প্রধান আসামি সুজনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঁচজনকেই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।