ফরিদপুরে রাতের আঁধারে সাজেদা বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছেন স্বামী লালন মোল্লা (৪৮) নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় লালন মোল্লাকে আটক করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে শহরের অম্বিকাপুর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন এলাকায় নিজ ঘরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) জগন্নাথ বলেন, স্বামী লালন নিজেই প্রতিবেশীকে ডেকে তার স্ত্রীকে হত্যার কথা বলেন। পরে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে দুপুর ১২টার দিকে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দেখতে পাই। তখনও ওই নারীর স্বামী মরদেহের পাশেই বসা ছিলেন।
তিনি জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্বামী লালনকে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি লোহার তৈরি ছেনি ও হাতুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকারী লালল বলেছেন ভোর ৫টার দিকে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীর বাম কানের পাশে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন এবং মাথায় ভেতরে ছেনি ঢুকিয়ে দেন। কয়েকবার মাথায় এরকমভাবে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
তিনি বলেন, স্বামী লালন মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার কামারখালী এলাকায়। আর তার স্ত্রীর বাড়ি ফরিদপুর সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের ভারদি এলাকায়। প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনে তারা নিঃসন্তান ছিলেন। শহরের আলীপুর মহল্লার অম্বিকাপুর খাদ্য গুদাম সংলগ্ন একটি বাড়িতে প্রায় এক যুগ ধরে বসবাস করতেন তারা। লালন পেশায় অটোরিকশা চালক ছিলেন।