ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে। সোমবার রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এমনটাই হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মস্কো আলোচনার পথে হাঁটলে তারাও টেবিলে বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার ইউক্রেন ইস্যুতে নরওয়ের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিবৃতিতে বাইডেন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, 'যদি কূটনীতির পথ ছেড়ে ওই দেশ (রাশিয়া) ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে মস্কোকে ভয়াবহ পরিণামের সম্মুখীন হতে হবে।' হোয়াইট হাউস থেকে তিনি আরও বলেন, 'শুধুমাত্র ইউক্রেন নয়, রাষ্ট্রসংঘের সমস্ত আদর্শ যে হুমকির মুখে সেই বিষয় আমরা আন্তর্জাতিক মঞ্চের কাছে তুলে ধরেছি। নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের জবাব দিতে যদি রাশিয়া তৈরি থাকে তাহলে আমার এবং আমাদের মিত্র দেশগুলি আলোচনার টেবিলে বসবে। কিন্তু তা না করে ইউক্রেনে হামলা চালালে সমস্ত দায় নিতে হবে মস্কোকে।'
বিগত কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেন ও বেলারুশ সীমান্তে সেনার সংখ্যা বাড়িয়ে চলেছে রাশিয়া। ন্যাটো সামরিক জোটে কিয়েভকে যেন কোনওভাবেই জায়গা দেওয়া না হয় সেই দাবি জানিয়েছে মস্কো। পাশাপাশি, পূর্ব ইউরোপের একাধিক ঘাঁটি থেকে ফৌজ সরাতে হবে আমেরিকা ও ন্যাটো জোটকে বলে দাবি করেছে তারা। বিশ্লেষকদের মতে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর সম্প্রসারণে উদ্বিগ্ন মস্কো। এবার আমেরিকার নেতৃত্বে ওই সামরিক জোটে ইউক্রেন যোগ দিলে, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে এসে পড়বে বিরোধী শিবির। তাই প্রতিরক্ষার কৌশলগত কারণেই ইউক্রেন দখল করে পূর্ব ইউরোপ ও নিজেদের মধ্যে একটি 'বাফার জোন' তৈরি করতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এহেন পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপে ফৌজ পাঠানোর কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত থামাতে আসরে নেমেছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ। গত ২৬ জানুয়ারি প্যারিসে বৈঠকে বসেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্স ও জার্মানির প্রতিনিধিরাও। তবে ওই আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি কতটা স্বাভাবিক হবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন থাকছে।
ইউক্রেনে হামলা চালালে রাশিয়াকে ভয়াবহ ফল ভোগ করতে হবে। সোমবার রস্তররসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এমনটাই হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে মস্কো আলোচনার পথে হাঁটলে তারাও টেবিলে বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাজশাহীর সময় /এএইচ