প্রায় তিরিশ ঘণ্টার অভিযানের শেষে রাজধানীর হোটেল জঙ্গিমুক্ত করল সোমালিয়ার সেনাবাহিনী। নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে হোটেলের ভিতরে বসানো বিস্ফোরক। হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। জঙ্গিদের প্রত্যেকে নিহত হয়েছে বলে সেনা সূত্রের খবর।
মোগাদিশুর হায়াত হোটেলে শুক্রবার রাতের সন্ত্রাসবাদী হানার দায় বিবৃতি দিয়ে স্বীকার করেছে আল-কায়দার শাখা সংগঠন আল-শাবাব। হোটেলের আশপাশ থেকে টানা আসতে থাকা গুলিগোলা আর বিস্ফোরণের শব্দ আজ সকালে থেমেছে। দেখা যায়, রাস্তায় কড়া নিরাপত্তা। তার মধ্যে বম্ব স্কোয়াডের তৎপরতা। হোটেল ভবনটি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত। কিছু অংশ একেবারে ভেঙে পড়েছে। তার মধ্যেই প্রিয়জনের খোঁজ করে চলেছেন মানুষ।
সোমালিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী আলি হাজি আদান বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১১৭ জন জখম।’’ পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাতে অভিযান শেষ হয়েছে। তার মধ্যেই শিশু এবং মহিলা-সহ মোট ১০৬ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। চার থেকে সাত বছর বয়সি তিনটি বাচ্চা শৌচাগারে আত্মগোপন করেছিল। নিরাপত্তাবাহিনীর এক কর্তা বলেন, ‘‘হামলার প্রথম কয়েক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গোড়া থেকেই চেষ্টা চলছিল একটা একটা ঘর ধরে আটকে থাকা লোকজনকে বার করে আনার।’’
নতুন প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মহম্মদ মে মাসে সোমালিয়ার ক্ষমতায় আসার পরে আল-শাবাবের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার হয়েছে। নিরাপত্তা-বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এটি আল-শাবাবের ‘হলমার্ক হামলা’। সরকারি নানা বৈঠক বড় হোটেলে হয়। সরকারি আধিকারিকেরা আসেন। পাশাপাশি, সুযোগ থাকে জঙ্গিদের তোলা না দেওয়া বড় ব্যবসায়ীদের নাগালে পাওয়ার। তাই তারা এমন হোটেল নিশানা করে।