মৃত্যুর পরপরই পাপীদের কবর আজাব শুরু হয় আর নেককার বান্দাদের শান্তি শুরু হয়ে যায়। পাপীদের কবর আজাব হয়ে ভয়াবহ। তাই ইসলাম মানুষকে কবরের আজাব ও তার ভয়াবহতা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দিকনির্দেশনা দেয়। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সব সময় কবরের আজাব ও তার ভয়াবহতার জন্য কাঁদতেন।
নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কবরের আজাবের ভয়ে যেমন কাঁদতেন তেমনি তিনি কবরের আজাবের ব্যাপারে তাঁর উম্মতকে সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। বিশেষ একটি দোয়া শিখিয়েছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যখন কেউ নামাজের তাশাহহুদ পড়; তখন ৪টি জিনিস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করো। এই বলে দোয়া করো-
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ جَهَنَّمَ، وَمِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، وَمِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيْحِ الدَّجَّالِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবি জাহান্নাম, ওয়া মিন আজাবিল কাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহয়িয়া ওয়াল মামাতি ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ দাজ্জাল।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে জাহান্নামের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। কবরের আজাব থেকে আশ্রয় চাই। জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে আশ্রয় চাই। আর মাসিহ দাজ্জালের ফিতনার ক্ষতি থেকে আশ্রয় চাই।’ (মুসলিম)
মনে রাখতে হবে: কবরের আজাব সত্য। মানুষের মৃত্যুর পর থেকেই এ আজাব শুরু হয়ে যায়। পাপীদেরকে সকাল-বিকাল জাহান্নাম দেখানো হয়। তারা জাহান্নাম দেখে দেখে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। বিচার ফয়সালা দিবস পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকবে।
এ কারণেই নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেগুনাহ নিষ্পাপ হওয়া সত্ত্বেও তিনি কবরের আজাবের ভয়ে কাঁদতেন এবং নামাজের শেষ বৈঠকে এ ৪ বিষয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। উম্মতের জন্য অনেক মুল্যবান এ নসিহত।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। কবরের আজাবের ভয়ে কান্না ও দোয়ার আমল বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।