যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে অভিনব লিঙ্গ কর্তন আইন পাস হয়েছে। লিঙ্গ-নিরপেক্ষ রাজ্য গড়ার প্রয়াসে ‘সেলস ম্যান’ এখন থেকে ‘সেলস পারসন’ হিসেবে পরিচিত হবেন। এছাড়া ‘কাউন্সিল ম্যান’ হবেন ‘কাউন্সিল মেম্বার’। নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বৃহস্পতিবার লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দ প্রয়োগের ওই আইনে সইও করেছেন।
গভর্নর. ক্যাথি হচুল বৃহস্পতিবার 'সেলস ম্যান (বিক্রয়কর্মী)' শব্দটিকে ‘সেলস পারসন’ (বিক্রয়কর্মী) দিয়ে প্রতিস্থাপন করে আইনে স্বাক্ষর করেছেন। লিঙ্গ-নিরপেক্ষ এবং অন্যান্য জাগ্রত ভাষার দিকে আলবেনির পদক্ষেপের একটি সর্বশেষতম সিরিজ।
অ্যাসেম্বলিম্যান ড্যানি ও’ডোনেলের সাথে বিলটি স্পন্সরকারী সিনেটর আনা কাপলান (ডি-নাসাউ)বলেন, 'চাকরির কোন লিঙ্গ নেই, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের রাজ্যের অনেক আইন এখনও সমস্ত লিঙ্গের লোকদের দ্বারা অনুশীলন করা পেশায় পরিনত হয়েছে, যা নিয়ে আলোচনা করার সময় লিঙ্গভিত্তিক ভাষা ব্যবহার করেন। তিনি বিলটি সম্পর্কে বলেছেন যা তিনি অ্যাসেম্বলিম্যান ড্যানি ও'ডোনেল (ডি-ম্যানহাটন) সাথে স্পনসর করেছিলেন।
‘সেলস ম্যান’ শব্দটির বদলে ‘সেলস পারসন’ ব্যবহারের মধ্যেই পরিবর্তন সীমিত নেই। সেইসাথে ‘হিস’ বা ‘হার’ শব্দও ব্যবহার করা যাবে না। এর বদলে ‘দেয়ার’ শব্দ ব্যবহার করতে হবে বলে নতুন আইনে বলা হয়েছে। ও’ডোনেল তার বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা চাই নিউ ইয়র্কের কর্মস্থলগুলোতে বৈচিত্র্য বিরাজ করুক।’
'সেলসম্যান' শব্দটি প্রতিস্থাপন করার পাশাপাশি, যা পরিমাপের একটি সারাংশ 'প্রাচীন' বলে মনে করেন তারা। নতুন আইনটি রিয়েল এস্টেট শিল্পকে প্রভাবিতকারী প্রাসঙ্গিক আইনগুলিতে 'হিজ বা হার' এর উদাহরণগুলিকে প্রতিস্থাপন করে৷ ও'ডোনেল একটি বিবৃতিতে বলেছেন,
আমরা চাই আমাদের কর্মক্ষেত্রগুলি নিউ ইয়র্কের বৈচিত্র্যকে প্রতিফলিত করুক এবং সেই লক্ষ্য অর্জনের সর্বোত্তম উপায় হল নিশ্চিত করা যে সমস্ত রিয়েলটররা মনে করেন যে তারা তাদের অন্তর্গত এবং পেশা অ্যাক্সেসযোগ্য।
বৃহস্পতিবারের বিলে স্বাক্ষর নিউই য়র্ক রাজ্য সরকারের নামকরণ কিকের সর্বশেষ উদাহরণ।
এছাড়া আরেকটি বিলও গভর্নর ক্যাথি হোচুল অনুমোদন করেছেন। স্টেট সিনেটর সামরা ব্রাক ও ক্যারি ওয়ারনারের স্পন্সর করা বিলে স্থানীয় আইনসভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির পদবি ‘কাউন্সিল ম্যান’ শব্দটির বদলে ‘কাউন্সিল মেম্বার’ করার কথা বলা হয়েছিল। গভর্নর তাতেও সই করেছেন। তুলনামূলক কম বিতর্কের মাধ্যমেই অ্যাসেম্বলি ও স্টেট সিনেটে আইন দুটি পাস হয়েছে।
তবে সবাই যে এই পরিবর্তনে খুশি হয়েছে তা নয়। বিশেষ করে রিপাবলিকানরা একটু খোঁচাই দিয়েছে। তারা এগুলোকে হাস্যকর পরিবর্তন হিসেব অভিহিত করেছে।