বৃদ্ধের মৃতদেহ আগলে তিন দিন কাটিয়ে দিল মা, মেয়ে। দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ পাড়ার লোকজন।
জলপাইগুড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে । সেখানে নিজের বাড়িতেই থাকতেন অজিত কর্মকার, বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর সঙ্গে থাকতেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি কর্মকার ও মেয়ে অনিন্দিতা কর্মকার। আত্মীয়দের অভিযোগ, মা আর মেয়ে মিলেই বৃদ্ধকে খুন করেছে।
অভিযোগ, বৃদ্ধের উপর মা এবং মেয়ে মিলে অত্যাচার চালাত। আত্মীয়দের সঙ্গেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অঞ্জলি ও অনিন্দিতার উপর। এদিন বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই মা-মেয়ের উপর ক্ষোভ উগরে দেন আত্মীয়রা। এমনকি অজিতবাবুর বোন গীতা কর্মকার এদিন পুলিশের সামনেই দাদার মেয়েকে জুতোপেটা করেন। বাকি আত্মীয়রাও মেয়েটিকে মারধর করেছেন বলে খবর। ঘটনার তদন্ত করছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে আটক করা হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মৃতের বোন গীতা কর্মকার জানিয়েছেন, তাঁর দাদা নিত্যদিন অত্যাচারিত হতেন। বোনের বাড়ি গিয়ে কান্নাকাটিও করতেন। বৌ আর মেয়ের ভয়েই বোনের বাড়িতে এসে থাকতেও পারতেন না। অভিযোগ, ওরা দুজন মিলে দাদাকে মেরে ঘরে ফেলে রেখেছিল।
মৃতের ভাইপো অমিত কর্মকার অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন তাঁর জেঠুকে মারধর করা হত। দিদি আর জেঠিমার দিকেই আঙুল তুলেছেন তিনিও। কারও সঙ্গে বৃদ্ধকে কথা বলতে দেওয়া হত না বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে তিনি শুনতে পান মা আর মেয়ে আলোচনা করছে। মা বলছে ‘তোর বাবার কিছু হয়েছে, কাউকে ডাক।’ মেয়ে তাতে বাধা দিচ্ছে। জানা গেছে, এদিন ওষুধ কেনার অছিলায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশে খবর দেন অঞ্জলি নিজেই। তারপর জানাজানি হয় বৃদ্ধের মৃত্যুর সংবাদ।
চিকিৎসক আশিস সরকার জানিয়েছেন, মা এবং মেয়ে দুজনেই মানসিক বিকারগ্রস্ত। শ্বাসরোধ হয়ে বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন। তাঁর গলায় দাগও রয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল খতিয়ে দেখছে পুলিশ।