দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে সম্প্রতি আজব এক নিয়ম চালু করেছে পুতিনের সরকার। মস্কোর তরফ থেকে জানানো হয়েছে কোন রুশ মহিলা যদি অন্ততপক্ষে দশটি করে সন্তানের জন্ম দেন তাহলে সেই কাজের পুরস্কার হিসেবে তাদেরকে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে মোটা টাকা। জানা যাচ্ছে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে এমন অদ্ভুত নিয়ম চালু করার কথা মাথায় এসেছে স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধান পুতিনের।
ফলে যেমন ভাবনা তেমন কাজ। সঙ্গে সঙ্গেই চালু হয়েছে সরকারি প্রকল্প।প্রসঙ্গত গত দু বছরে একের পর এক দুর্যোগের সামনাসামনি হতে হয়েছে পুতিনের দেশকে। প্রথমে করোনা মহামারী এবং পরে ইউক্রেনের সঙ্গে সামরিক সংঘাত, সবে মিলে রাশিয়ার জনসংখ্যা শেষ দুই বছরে ব্যাপক হারে কমেছে। ফলে যে কোন মুহূর্তে এই দেশ বড়সড়ো কোন সংকটের মুখোমুখি হতে পারে। আর তাই দেশকে পুনরায় জনবহুল করে তুলতেই নতুন এই চিন্তা ভাবনা পুতিনের।
যদিও এই প্রকল্পের কথা প্রকাশে আসতেই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ এই ধরনের সরকারি প্রকল্পের কারণে একদিকে যেমন দেশে জনবিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটতে পারে অন্যদিকে তেমনি দেশের মহিলাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েও উঠতে পারে বড়সড় প্রশ্ন। তবে বিশেষজ্ঞ মহলের এই সমস্ত চিন্তাতে কান দিতে মোটেই রাজি নন রুশ প্রধান। আর তাই আপাতত 'মাদার হেরোইন' প্রকল্প দিয়ে যথেষ্ট উত্সাহিত মস্কো।
এখন প্রশ্ন হল কি এই মাদার হেরোইন প্রকল্প। রাশিয়ার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ জেনি ম্যাথার্স জানিয়েছেন, দশটি সন্তানের জন্ম দিতে হবে প্রত্যেক রুশ মহিলাকে। তাঁর দশম সন্তানের এক বছর বয়স হওয়ার পরেই এককালীন টাকা দেওয়া হবে সরকারের তরফ থেকে। তবে আর্থিক সহায়তা পাওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত, প্রত্যেকটি সন্তানকে সুস্থ এবং জীবিত থাকতে হবে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এক মিলিয়ন রুবল দেওয়া হবে রুশ সরকারের পক্ষ থেকে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় তেরো লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, রাশিয়ায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তার পাশাপাশি ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে অন্তত পঞ্চাশ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে। যদিও পুতিনের মতে, যেসব মানুষের পরিবার খুব বড়, তারাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তবে এর জেরে দেশের জনসংখ্যায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।