নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার দরবারে দেনা-পাওনা পরিশোধের তাওফিক চেয়ে দোয়া করার কথা বলেছেন। ঋণ পরিশোধের একান্ত প্রচেষ্টা থাকলে আল্লাহ তাআলা সে প্রচেষ্টায় বরকত ও সফলতা দান করেন। ঋণ পরিশোধে তিনি দুটি দোয়ার মাধ্যমে আশ্রয় প্রার্থনার কথা বলেছেন। তাহলো-
১. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঋণ ও পেরেশানিতে এভাবে দোয়া করতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِن ضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল আজযি ওয়ালকাসালি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল বুখলি ওয়ালজুবনি, ওয়া আউজুবিকা মিন দ্বালায়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুঃশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।” (বুখারি, মুসলিম ও মিশকাত)
২. যারা ঋণগ্রস্ত আর যারা ঋণগ্রস্ত নয়; সবার জন্য এ দোয়াটি খুবই জরুরি। নবিজি এ দোয়াটিও পড়তেন-
اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদ্বলিকা আম্মান সিওয়াক।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার হালালের সাহায্যে হারাম থেকে বাঁচান। এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আপনি ছাড়া অন্যের মুখাপেক্ষিতা থেকে বাঁচান।’ (তিরমিজি, মিশকাত)
ফজিলত : পাহাড় পরিমাণ দেনার চাপ থাকলেও আল্লাহ উক্ত দোয়ার বদৌলতে আল্লাহ তা পরিশোধ করার সামর্থ্য দিবেন বলে হাদিসে বর্ণিত রয়েছে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সব সময় এ দোয়া দুটি বেশি বেশি পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।