তাইওয়ানকে চারপাশ দিয়ে ঘিরে সামরিক মহড়া আরও বাড়াল চিন। তাইওয়ানের জল ও আকাশসীমার একেবারে কাছ দিয়ে নতুন উদ্যমে সেনা মহড়া শুরু করেছে চিনের লাল ফৌজ । আকাশে চক্কর কাটছে শতাধিক যুদ্ধবিমান। তাইওয়ান প্রণালীকে ঘিরে রেখেছে রণতরী, ডুবোজাহাজ। নয়া প্রজন্মের এরিয়াল রিফুয়েলার ওয়াইইউ-২০ মোতায়েন করা হয়েছে।
চিনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড ঘোষণা করেছে, রণতরী ও ডুবোজাহাজ নিয়ে তাদের মহড়া আরও কয়েকদিন চলবে। শুক্রবার চিনা সামরিক বাহিনীর মহড়া চলাকালীন ৬৮টি চিনা যুদ্ধবিমান ও ১৩টি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীর কাছাকাছি চলে এসেছিল। ছ’দিক দিয়ে তাইওয়ানের নৌঘাঁটিগুলিকে ঘিরে ফেলতে চাইছে চিনের রণতরীগুলি। সমুদ্র ও আকাশসীমার নীতি লঙ্ঘন করে চিনের সেনা অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাইওয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক চুক্তি ভেঙে বার বার তাদের জল ও আকাশসীমায় ঢুকে পড়ছে চিন। এতে চিনের বক্তব্য, তাইওয়ান তাদেরই ভূখণ্ডেরই অংশ । তাই সেক্ষেত্রে তারা নিজেদের জলসীমার মধ্যেই সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের প্রশ্নই উঠছে না।
তাইওয়ানের উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণের সমুদ্রে গত কয়েক দশকের সব চেয়ে বড় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চিন। অভিযোগ, তাইওয়ানের প্রণালীতে অন্তত ১১টি চিনা ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়েছে। চিন ও তাইওয়ানের সংযোগকারী ওই প্রণালী বিশ্ব অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই প্রণালীকেই অবরুদ্ধ করে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। যদিও তাইওয়ানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। তাদের দাবি জাতীয় নিরাপত্তার কারণেই সামরিক মহড়া চলছে।
মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপেই সফরের পর পরই আমেরিকার সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। বন্ধ হয়ে গেছে আলোচনার যাবতীয় রাস্তা। হোয়াইট হাউস জানাচ্ছে, গত সপ্তাহে পেন্টাগনের কিছু শীর্ষ আধিকারিকের ফোন ধরেননি চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কর্তারা। সম্প্রতি তারা বেশ স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, তাইওয়ানকে স্বেচ্ছায় চিনের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে, তা নাহলে তারা শক্তি খাটিয়ে সে চেষ্টা শুরু করবে।