যুদ্ধ বন্ধে এরদোয়ানের প্রচেষ্টা ‘ভেস্তে দিল’ রাশিয়া

ইউক্রেনে চলমান রুশ সামরিক অভিযান নিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাক্ষাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই। সোমবার (৮ আগস্ট) সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন।

ইউক্রেনের চলমান সংঘাত নিরসনের লক্ষ্যে জেলেনস্কি ও পুতিনের মধ্যে বৈঠকের আয়োজনের মধ্যস্থতা করছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। তার এ আগ্রহের পর পেসকভ সে রকম কোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, দু’দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় বসে প্রাথমিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করলেই প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনায় বসবেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলই প্রথম আলোচনার টেবিল থেকে উঠে গিয়েছিল এবং তাদের কারণেই আজ আলোচনা প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। কাজেই শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আগের আলোচনা আবার চালু করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসেছিল মস্কো ও কিয়েভ। কিন্তু মার্চ মাসেই ওই আলোচনা ভেঙে যায় এবং এরপর আর কোনো আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়নি।

এদিকে সম্প্রতি রাশিয়ার সোচিতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক বক্তৃতায় দাবি করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো পক্ষই বিজয়ী হবে না। তিনি বলেন, সব ধরনের জটিলতা সত্ত্বেও আমি মনে করি, আলোচনার টেবিলেই এ সমস্যার সমাধান রয়েছে। আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে জানিয়েছি যে, আমরা জেলেনস্কির সঙ্গে তার বৈঠকের ব্যবস্থা করে দিতে প্রস্তুত রয়েছি।

ওই প্রস্তাবের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট কী বলেছেন, তা জানাননি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। তবে এবার পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ ব্যাপারে রাশিয়ার অবস্থান স্পষ্ট করলেন।