ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। বিকল্প চাষ হিসাবে ভালো সফল হয়েছেন জেলার একাধিক কৃষক। বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ফলে স্থানীয় বাজার গুলিতে বিক্রি হচ্ছে ড্রাগন ফল। লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। নতুন করে অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। প্রথমদিকে জেলা উদ্যান পালন দফতরের পক্ষ থেকে শুধু মাত্র চাষের পরামর্শ দেওয়া হতো। তবে বর্তমানে চাষিদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ায় চারা বিতরণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ভারতের মালদহ জেলা উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গেছে, ড্রাগন ফলে এন্টিঅক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।ফলের খাদ্যগুণ খুব ভালো ।ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ,সুগার ,চোখে চশমা নেওয়ার প্রবণতা , হাঁটু ব্যথা , এই সমস্ত রোগের রোগীদের পক্ষে খুব উপকারী। ড্রাগন ফল বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ হতে দেখা যায় না। এক বিঘা থেকে তিন বা চার বিঘা জমিতে ছোট ছোট করে চাষ করা হয়। এতে গাছের পরিচর্যা করতে সুবিধা হয়।
মালদহ জেলার হবিবপুর, বামনগোলা , চাঁচোল মহাকুমার বেশ কিছু ব্লকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে। জেলার কৃষকদের মধ্যে ড্রাগন চাষের প্রবণতা বাড়তে থাকায় উদ্যান পালন দফতরের তরফ থেকে সঠিক পদ্ধতিতে চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
চলতি মরশুমে কিছু চাষীকে ড্রাগন ফল চাষ করার পদ্ধতি শেখানো হয়েছে। এই প্রথম উদ্যান পালন দফতরের তরফ থেকে ড্রাগন ফলের চারা আগ্রহী কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছে উদ্যান পালন দফতর। চারা লাগানোর পর গাছে ফল আসতে এক বছর সময় লাগে।
তবে বাজারে ড্রাগন ফলের দাম রয়েছে। মালদহের বাজারে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় বাজার তৈরি হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। আর তারি জেরে অনান্যদের মধ্যে চাষের ঝুঁকি বাড়ছে।