স্বামীর জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হলেন স্ত্রী। তিল তিল করে জমা করছিলেন টাকা৷ স্ত্রীর কাছে বিশ্বাস করে জমা রাখতেন সেই টাকা। স্বামীর জমানো টোটো কেনার সেই দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হলেন স্ত্রী। খবর শুনেই মাথায় যেন বাজ পড়ল স্বামীর৷ ভিনরাজ্য থেকে তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরে এলেন তিনি। রবিবার স্ত্রীর নামে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করলেন স্বামী। টাকা ও বিশ্বাস, দুই যেন খুইয়ে সর্বশান্ত হলেন সোহারাব আলি৷
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ইসাদপুর গ্রামে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইসাদপুর গ্রামের বাসিন্দা সোহারাব আলি দিল্লিতে সেলাই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গত ১১ বছর আগে বিয়ে হয়েছে। পরিবারে স্ত্রী সহ দুই ছেলে রয়েছে। পরিবার ছেড়ে এখনও ভিনরাজ্য শ্রমিকের কাজ করছিলেন। তাই স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে টোটো কেনার সিদ্ধান্ত নেন। টোটো কিনে নিজের এলাকাতেই রোজগার করার পরিকল্পনা করেন। ভাবেন যে টোটো কিনে চালালে আর ভিনরাজ্য কাজে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। স্ত্রী, ছেলে নিয়ে গ্রামেই থাকতে পারবেন। সেই মত ধীরে ধীরে টাকা জমানো শুরু করেন। প্রতিমাসে স্ত্রীর কাছে টাকা পাঠাতেন। টোটো কেনার টাকা প্রায় জমা হয়ে এসেছিল। এমন সময় স্ত্রী করলেন বিশ্বাসঘাতকতা৷ জমানো টাকা নিয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়লেন স্ত্রী।
শুধু নগদ টাকা নয়, সোনা-রুপার কিছু অলংকার নিয়েও চম্পট দিয়েছেন।স্বামী ও শাশুড়ির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে ওই গৃহবধূর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হতে থাকে। এই নিয়ে প্রথমদিকে সংসারে অশান্তি হত। যদিও পরে সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে যায়। স্বামীকে টোটো কেনার পরামর্শ পর্যন্ত দিয়েছিলেন অভিযুক্ত গৃহবধূ। মোটা অঙ্কের টাকা জমতেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যান তিনি, এমনই অভিযোগ। ছেড়ে গিয়েছেন দুই সন্তানকেও।
গৃহবধূর শাশুড়ি সারাবানু বলেন, বৌমার সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের কাজ কেন করল বুঝতে পারছি না। টাকা পয়সা সঙ্গে আমার সোনা গয়না নিয়েও পালিয়ে গিয়েছে। বাড়িতে ছোট দুটি ছেলে। এখন ওদের কী বলবো। স্বামী সোহরাব আলী বলেন, দিল্লিতে থাকাকালীন প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরি হয়েছিল। আমি সাবধান করার পরে আমার স্ত্রী আমাকে জানিয়েছেল যে সম্পর্ক আর নেই। কিন্তু এতদিন ধরে ওটা যে অভিনয় করে গিয়েছিল এখন সেটা বুঝলাম। আমার জমানো সমস্ত টাকাও নিয়ে চলে গেছে এখন কী করে টোটো কিনব। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।