চীনের অভ্যন্তরীণ বাজারে বাংলাদেশের পাওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা আরও ১ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে চীন। এতে বাংলাদেশ ৯৯ শতাংশ পণ্যই কোনোরকম শুল্ক ছাড়া দেশটিতে রফতানি করতে পারবে।
রোববার (৭ আগস্ট) ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন বাংলাদেশি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে তার দেশ বাংলাদেশকে আরও ১ শতাংশ পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে। এতে বাংলাদেশ তার রফতানি পণ্যের মোট ৯৯ শতাংশই শুল্ক ছাড়া চীনে রফতানি করতে পারবে।
এই সুবিধা চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, বৈঠকে চীনের সঙ্গে ৪টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মেরিন সায়েন্স শিক্ষা বিষয়ক একটি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। চতুর্থ চুক্তিটির বিষয়ে লিখিতভাবে জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, চীন সর্বপ্রথম ২০১০ সালের ১ জুলাই স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে সে দেশের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা প্রদান করে। ওই সুবিধার আওতায় বাংলাদেশসহ ৩৩টি স্বল্পোন্নত দেশ চীনের ৬০ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
পরে ২০২০ সালের ১৬ জুন শর্তহীনভাবে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ রফতানি পণ্য (৮ হাজার ২৫৬টি পণ্য) দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় চীন, যা ওই বছরের ১ জুলাই কার্যকর হয়। এরপর ২০২২ সালের শুরুতে বাংলাদেশ আরও ১ শতাংশ পণ্যকে (৩৮৩টি) শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয় দেশটি। সর্বশেষ নতুন করে ৯৮ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধাকে আরও ১ শতাংশ বাড়িয়ে দেশটির বাজারে ৯৯ শতাংশ পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশের সুবিধার ঘোষণা দেয়া হলো, যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, গত দুই অর্থবছর চীনে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ ৭০০ মিলিয়ন ডলারও ছুঁতে পারেনি। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে চীনে বাংলাদেশের রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫৭ মিলিয়ন ডলার।
চীনে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য হচ্ছে ওভেন গার্মেন্টস, নিটওয়্যার, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং প্লাস্টিক পণ্য।