সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় ৭ জন কারাগারে


অনলাইন ডেস্ক , আপডেট করা হয়েছে : 05-08-2022

সাংবাদিকের ওপর হামলার মামলায় ৭ জন কারাগারে

গাজীপুরের টঙ্গীতে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) টঙ্গীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন: টঙ্গী পশ্চিম থানার কাঁঠালদিয়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে এনামুল হক অনিক (২৯), বড় দেওড়া মিত্তিবাড়ি এলাকার শাহীন মিয়া ওরফে কাওয়া শাহীনের ছেলে রাশেদ খান মেনন (২৫), একই এলাকার মৃত বারেক মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম (২৫), মো. ইউসুফের ছেলে আল-আমিন (২৮), আহাম্মদ আলীর ছেলে মোজাফফর হোসেন, গোপালপুর এলাকার নাসির উল্লাহর ছেলে আরাফ উল্লাহ ওরফে রিফাত (২৪) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার সুখিয়া গ্রামের বাদল হোসেনের ছেলে টঙ্গীর বাসিন্দা আজাহার হোসেন (১৭)।

গ্রেপ্তার রাশেদ খান মেনন স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী ও ৫৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হাজী সেলিম মিয়ার অনুসারী এবং এনামুল হক অনিক গাজীপুর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হাজী নুর মোহাম্মদ মামুনের অনুসারী বলে জানান স্থানীয়রা।

এর আগে বার্তা বাজার ও এশিয়ান টেলিভিশনের গাজীপুর প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার বিকেলে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেছেন।

টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন আদালতে পাঠনো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, দেড় মাস আগে কাঁঠালদিয়া বস্তির উচ্ছেদকৃত জায়গায় বাংলাদেশ স্টিল করপোরেশনের নির্মাণাধীন ভবনের বিপুল পরিমাণ লোহার রড চুরি হয়। ওই লোহা বিক্রির টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই রাশেদ খান মেনন ও অনিক গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এ ছাড়া রাজনৈতিক মিছিলে যাওয়া, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।

গত ২ জুলাই রাত ১১টার দিকে মিত্তিবাড়ি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরে উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ করতে গেলে থানা ফটকের সামনে ফের সংঘর্ষ বাধে। এ সময় সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করায় এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিনিধি আরিফ চৌধুরীর ওপর হামলা চালায় গেপ্তার আসামিরা। একপর্যায়ে হামলাকারীরা সাংবাদিক আরিফের মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও আইডি কার্ড কেড়ে নেয়।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]