কুষ্টিয়ায় ইজিবাইক চালক মাসুদ রানাকে (২৫) গলা কেটে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম রাকিবুল ইসলাম রাকিব। তিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উদিবাড়ী কলোনীপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: কুষ্টিয়া সদর উপজেলার টালিপাড়া এলাকার কুটি মিয়ার ছেলে শিপলু , উদিবাড়ি এলাকার মিজানুর রহমান মিলনের ছেলে তন্ময় এবং একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে শামীম।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তন্ময় ও শিপলু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি শিপনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ জুলাই রাত ৮টার দিকে ইজিবাইক চালক মাসুদ রানা ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। সেদিন রাতে নিখোঁজের পর ১১ জুলাই সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়াদি গ্রামের বাগারের মাঠের মধ্যে রাস্তার পাশ থেকে মাসুদের রক্তাক্ত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ। আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে মাসুদের ভাড়ায় চালিত ইজিবাইকটি চুরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাকে গলা কেটে হত্যা করে। ওই দিন নিহতের বাবা ইয়ার আলী মালিথা আসামিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় এজাহার দেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ৪ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ইজিবাইক চালক মাসুদ হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার অপর আসামি শিপনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।