মিসাইল হামলায় আল-কায়দা প্রধান নিহত !


রিয়াজ উদ্দিন: , আপডেট করা হয়েছে : 03-08-2022

মিসাইল হামলায় আল-কায়দা প্রধান নিহত !

মিসাইল হামলায় আল-কায়দা প্রধান আল জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। জানা গেছে, আমেরিকা কয়েক মাস ধরে এই হামলার পরিকল্পনা করছিল। আর এই হামলায় 'হেলফায়ার' মিসাইল বিশেষ পদ্ধতিতে ডিজাইন করা হয়েছে। এই গোপন ক্ষেপণাস্ত্র সন্ত্রাসীদের হত্যা করার জন্য বা সুনির্দিষ্ট বিমান হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিস্ফোরণ হয় না। আশেপাশে ক্ষতিও খুব কম হয়। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনাও কম থাকে। কোনও ব্যক্তি এবং সম্পত্তির ক্ষতি না করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম এই মিসাইল।

২০১৯ সালে 'দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে' প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিআইএ এবং পেন্টাগন উভয়ই এই অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি 'নিনজা মিসাইল' নামেও পরিচিত। এতে ক্ষুরের মতো ধারালো ব্লেড লাগানো থাকে। এটি মোটা স্টিলের শিটও কাটতে পারে। গতিশক্তি ব্যবহার করে এটি তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্যকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। আশেপাশে থাকা মানুষ বা বস্তুর কোনো ক্ষতি হয় না।

দূর থেকে চালিত এই ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যবস্তুর খুব কাছে যেতে পারে। নিখুঁত লক্ষ্যের জন্য এটিতে ক্যামেরা রয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে মিসাইলের পাশ থেকে ছয়টি ব্লেড বেরিয়ে যায়। ডব্লিউএসজে রিপোর্ট অনুযায়ী, ক্ষেপণাস্ত্রের ছয়টি লম্বা ব্লেড এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে সেগুলি সামনে আসা যে কোনো কিছুকে কেটে ফেলতে পারে। এই ব্লেড গাড়ির ছাদ কেটে দিতেও সক্ষম।

আল-জাওয়াহিরিকে হত্যার অভিযানের বিষয়ে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, ৩১ জুলাই সকালে জাওয়াহিরি কাবুলের বাড়ির বারান্দায় একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই মার্কিন ড্রোন হেলফায়ার দুটি গুলি করে। বিল্ডিংয়ের ফটোতে এক তলার জানালা উড়ে যাওয়ার ছবি দেখা গেলেও অন্য জানালা সহ ভবনের বাকি অংশের কোনো ক্ষতি হয়নি।

জানা যায়, ২০১৭ থেকে এই ভয়ানক মিসাইল ব্যবহার করছে আমেরিকা। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় এই মিসাইল আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, সোমালিয়ায় একাধিক অভিযানে ব্যবহার করেছে আমেরিকা।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]