বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি


অনলাইন ডেস্ক : , আপডেট করা হয়েছে : 02-08-2022

বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি

লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যার কবলে পড়েছে ১০ হাজার পরিবারের কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ।

মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে পরিমাপ করা হলে দেখা যায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

এর আগে সোমবার (১ আগস্ট) সকাল থেকে তিস্তা পাড়ের পানি বাড়তে থাকে। সোমবার রাত ৯টায় তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানী এলাকায় অবস্থিত তিস্তা নদীর পানি হাতীবান্ধা, কালীগণ্ড আদিতমারী ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার দিকে ভাটিতে নেমে আসায় কার্যত: নদী তীরবর্তী এলাকা, নিম্নাঞ্চল, চর দ্বীপচর এলাকায় বসবাসকারী পরিবারের মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে।

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে।

ঘরে খাবার থাকলেও রান্নার সমস্যা, সুপেয় নিরাপদ পানির সংকট ও পয়ো:নিষ্কাশন ব্যবস্থা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব মানুষ। নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়েছে। গরু ছাগলের খাদ্য-সংকটসহ নিরাপদ স্থানে রাখতেও ভোগান্তিতে রয়েছেন তারা।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় সাময়িকভাবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখনও সঠিক তালিকা তাদের কাছে নেই। তবে তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

তিনি আরও জানান, খাদ্য সামগ্রীসহ পর্যাপ্ত ত্রাণ ও টাকা রয়েছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো সমস্যা হবে না।


Publisher & Editor :Md. Abu Hena Mostafa Zaman

Mobile No: 01971- 007766; 01711-954647

Head office: 152- Aktroy more ( kazla)-6204  Thana : Motihar,Rajshahi
Email : [email protected], [email protected]