এখন থেকে সবসময় সঙ্গে বন্দুক নিয়ে ঘুরতে পারবেন ভাইজান। কিনেছেন বুলেটপ্রুফ গাড়ি। তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপস করতে চাইছেন না তিনি। মুম্বই পুলিশের কাছে আবেদন করে গান লাইসেন্সও পেয়ে গেছেন। নিরাপত্তাহীনতায় নাকি ভুগছেন সলমন খান। তাই তাঁর নিরাপত্তা নিয়ে এত উদ্বোগ-আয়োজন। যে ভাইজানের এত দাপট, তাঁর এমন ভয় কীসের?
শোনা যাচ্ছে, পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা খুনের পর থেকেই নানারকম হুমকি পাচ্ছেন বলিউডের ভাইজান। প্রাণনাশের হুমকি চিঠিও নাকি পেয়েছেন তিনি। সূ্ত্রের খবর, মুসেওয়ালার খুনে জড়িত সেই বিষ্ণোই গ্যাংই নাকি সালমানের চিন্তার কারণ। এই গ্যাংয়ের তরফ থেকেই নানাভাবে হুমকি পেয়ে যাচ্ছেন তিনি। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল বলিউডের সুলতানের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সালমানকে নিজের শত্রু মনে করে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের মাথা লরেন্স বিষ্ণোই। একাধিকবার সলমনকে হুমকি দিয়েছে সে। সুপারস্টারের প্রাণনাশের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। জুন মাসে জুন মাসে হুমকি চিঠি পান সালমান খান, মর্নিং ওয়াক করার সময়। যেখানে তাঁকে ও তাঁর বাবাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী, গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এক জেরায় মেনেও নেন সালমানকে মারতে এর আগে শার্প শ্যুটার পাঠানোর কথা।
দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল নাকি জানতে পেরেছে গত ১০ জুলাই আবারও সলমনকে হুমকি দেওয়া হয়েছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে। শুধু সালমান খান নয়, তাঁর বাবাকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয় চিঠিতে। হুমকি চিঠি পেয়েই মুম্বই পুলিশ কমিশনারের কাছে বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য লিখিত আবেদন করেন ভাইজান। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সালমান ও তাঁর পরিবারের কাছ থেকে তোলা আদায় করার চেষ্টা চলছে, এমন কথাও শোনা গিয়েছে। সালমানের আইনজীবীকেও নাকি খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এসবের পরেই বলিউডের ভাইজান এখন বেশ চাপে রয়েছেন বলেই শোনা যাচ্ছে।