স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগে পাকিস্তানের এক পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান আর ঠোঁট কেটে নিয়েছে যুবক। শুধু নাক, কান, ঠোঁট কেটে ফেলাই নয়, ওই পুলিশ কনস্টেবলকে শারীরিক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার পাকিস্তানের ঝাং জেলায়। লাহোর থেকে ঘটনাস্থল প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বলে পুলিশ সূত্রে খবর। নিগৃহীত ওই কনস্টেবলের নাম কাশিম হায়াত। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ ইফতিখার। কাশিমের উপর অত্যাচারের সময় তার সঙ্গে তার আরও কিছু সঙ্গীও সামিল হয়েছিল বলে খবর।
কাশিম তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধভাবে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত, এমনটাই সন্দেহ করেছিল ইফতিখার। তার ধারণা, তার স্ত্রীকে জোর করে এই সম্পর্কে থাকতে বাধ্য করেছে কাশিম। স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগও করেছে সে কাশিমের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, রবিবার যখন কাশিম ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরছিল সেই সময় তার পথ আটকে দাঁড়ায় ইফতিখার আর তার অন্তত ১২ জন সঙ্গী। সকলে মিলে কাশিমকে তুলে নিয়ে যায় নির্জন স্থানে। সেখানে তার উপর তুমুল অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। বেধড়ক মারধর চলে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাক, কান আর ঠোঁট কেটে নেয় দুষ্কৃতীরা।
কাশিমকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঝাং জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর অবস্থা সংকটজনক বলেই খবর। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পাকিস্তান পুলিশ।