রাজধানীতে বিকাশ পরিবহনের একটি চলন্ত বাসে এক ছাত্রীকে নিপীড়নের অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছে লালবাগ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আসামি হলেন- বিকাশ পরিবহন বাসের চালক মাহবুবুর রহমান।
সেই সঙ্গে বিকাশ পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কুদরত-ই-খুদা ।
তিনি জানান, বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকা জেলার আশুলিয়ায় থানায় লালবাগ জোনের সহকারী কমিশনার কে. এন. রায় নিয়তির নেতৃত্বে একটি অভিযান চালিয়ে মাহবুবুরকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাসের হেলপারকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. কুদরত-ই-খুদা বলেন, গত ২৪ জুলাই ভুক্তভোগী রাত পৌনে ৯টার দিকে ধানমন্ডি থেকে আজিমপুরে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিকাশ পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। বাসে উঠে কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। পরে রাত আনুমানিক ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ভুক্তভোগী অনুভব করেন, তার শরীরে কেউ যেন হাত দিয়েছে। তাৎক্ষণিক তিনি তাকিয়ে দেখেন বাসে কোনো যাত্রী নেই এবং তার পাশের সিটে বাসটির হেলপার বসা। তখন ওই ছাত্রী বিপদ আঁচ করতে পেরে বাসের হেলপারকে তার পাশ থেকে ধাক্কা দিয়ে সরানোর চেষ্টা করেন। সিট থেকে দাঁড়িয়ে নামার চেষ্টা করলে হেলপার তাকে পেছন থেকে এক হাতে মুখ চেপে ধরেন। ওই ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর জন্য সর্বশক্তি দিয়ে হেলপারের কাছ থেকে ছুটে চালককে চিৎকার করে বাস থামাতে বলেন।
কিন্তু চালক তখন বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে আজিমপুরের দিকে যেতে থাকেন। এক পর্যায়ে আজিমপুর গার্লস স্কুলের কাছে বাসটি কিছুটা গতি কমালে ওই ছাত্রী লাফ দিয়ে বাস থেকে নেমে আত্মরক্ষা করেন।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগী ঘটনাটি ফেসবুকে শেয়ার করে একটি পোস্ট দেন। এরপর লালবাগ থানা পুলিশ প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর ভুক্তভোগীকে চিহ্নিত করে তথ্য সংগ্রহ করে। তাৎক্ষণিক সিসি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বিকাশ পরিবহনের বাসটি শনাক্ত করা হয়। এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিকাশ পরিবহন বাসের ড্রাইভার মো. মাহবুবুর রহমানের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।